ইয়ান ক্লিফোর্ড ১৫ বছর ধরে ছুটিতে। কারণটা শারীরিক অসুস্থতা। এরপরও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী পাচ্ছিলেন বেতন। তবে এ নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। উল্টো তাঁর অভিযোগ, এই ১৫ বছরে তাঁর বেতন একদমই বাড়ানো হয়নি। শেষমেশ বিষয়টি সুরাহা করতে দ্বারস্থ হন আদালতের। খবর এনডিটিভির
ক্লিফোর্ডের বাড়ি যুক্তরাজ্যের গিলফোর্ড শহরে। চাকরি করেন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইবিএমে। ২০০৮ সালে অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি নেন তিনি। টানা ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় আইবিএম। চুক্তিটি করা হয় প্রতিষ্ঠানের ‘স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পরিকল্পনা’র অধীন। সে অনুযায়ী, ক্লিফোর্ডকে চাকরিচ্যুত করা হবে না। আর ছুটিতে থাকাকালে কোনো কাজ না করলেও তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবেই থাকবেন। তবে তাঁর বেতনের ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এখনো ছুটিতে আছেন তিনি।
প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ হিসেবে আইবিএমে ক্লিফোর্ডের বেতন ছিল বছরে ৭২ হাজার পাউন্ড। চুক্তি মেনে কাটছাঁটের পর বেতন দাঁড়ায় ৫৪ হাজার পাউন্ডে। ৬৫ বছর বয়সে অবসরের আগপর্যন্ত প্রতিবছর এ বেতন পাবেন তিনি। সে হিসেবে নিয়ম করে অর্থও পেয়ে আসছিলেন।
তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি নিয়ে শ্রম আদালতে যান ক্লিফোর্ড। সেখানে অভিযোগ করেন, মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থের মান কমেছে। ফলে তাঁর বেতনের আর্থিক সুবিধাও কমে গেছে। কিন্তু বেতন বাড়ানো হয়নি। এতে তিনি বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। ক্লিফোর্ডের ভাষ্যমতে, কাজ করতে অক্ষম কর্মীদের নিরাপত্তা দিতেই ওই স্বাস্থ্য পরিকল্পনা করেছে আইবিএম। তাঁদের বেতন যদি না বাড়ানো হয়, তাহলে স্বাস্থ্য পরিকল্পনার উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছে ক্লিফোর্ডকে। আদালত তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারক পল হাউসেগো বলেন, অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, বেতন না বাড়িয়ে তাঁর সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে যে অর্থ দেওয়া হচ্ছে, সেটি থেকেই তিনি যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।