রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলুসভকে নিয়োগ দিলেন। গতকাল রোববার তিনি দীর্ঘদিনের সহযোগী সের্গেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে আকস্মিকভাবে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা দেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেলুসভকে নিয়োগের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা বাজেটকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন বেলুসভ। এ ছাড়া অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে শক্তিশালী করে ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে উন্নত উদ্ভাবনকে কাজে লাগাবেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী শোইগু ২০১২ সাল থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি নিকোলাই পাস্তুরেভের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ক্রেমলিন বলছে, শোইগুকে সরানো হলেও তাঁকে সামরিক খাতে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাস্তুরেভকে নতুন পদে নিয়োগ দেবেন পুতিন।
পুতিনের অনুমোদন পাওয়া এসব পরিবর্তন এখন পার্লামেন্টে পাস হতে হবে। তবে এটি পাস হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর প্রতিরক্ষা খাতে এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পরিবর্তনগুলো যৌক্তিক। পুতিন তাই বেসামরিক অর্থনীতিতে দক্ষ একজনকে এ দায়িত্ব দিচ্ছেন। বেসামরিক নাগরিককে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে ‘উদ্ভাবন’ সক্ষমতা চাওয়া হচ্ছে।
দিমিত্রি পেসকভ আরও বলেন, ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবস্থা যেমন ছিল, রাশিয়ার অবস্থা তেমন হয়ে যাচ্ছে। ওই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের জিডিপির একটা বড় অংশ সামরিক খাতে খরচ হতো।
পেসকভের মতে, যে ব্যক্তি উদ্ভাবনকে যত বেশি গুরুত্ব দেবেন, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন।
সাবেক অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা বেলুসভ পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে। তিনি রাশিয়াকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পুতিনের স্বপ্নকে লালন করেন। তিনি পুতিনের শীর্ষ টেকনোক্র্যাট হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি উদ্ভাবন ও নতুন ধারণাকে স্বাগত জানাতে পছন্দ করেন। তিনি রাশিয়ার ড্রোন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও করেছেন।