যুক্তরাজ্যের স্টাফোর্ডশায়ারের বাসিন্দা লি হেইনস (৪৪) ও জো উডলি (৪৫) দম্পতি সেখানকার একটি বাড়িতে ১৮ বছর ধরে আছেন। সম্প্রতি বাড়ির গ্যাস বিল হাতে পাওয়ার পর তাঁদের তো চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। বিলে লেখা আছে, এ দম্পতিকে প্রায় ১০ হাজার ৮২৪ পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
এক মাস-দুই মাস নয়, একেবারে ১৮ বছরের বিল একবারে এসেছে। কীভাবে ঘটল এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা?
হেইনস ও উডলি দম্পতির দাবি, ২০০৫ সালে ওই বাড়িতে ওঠার পর তাঁরা অনেকবার জানার চেষ্টা করেছেন, কারা গ্যাস সরবরাহ করছে, কীভাবে তাদের বিল পরিশোধ করতে হবে। তবে তাঁদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে এ বিভ্রান্তির পরিষ্কার কোনো সমাধান ছিল না তাঁদের কাছে। একপর্যায়ে তাঁরা থেমে যান। অবশেষে প্রায় দুই দশক পর তাঁদের হাতে গ্যাস বিল এসেছে। তবে বিলের পরিমাণ দেখে তাঁরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন।
দ্য মেট্রো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সালে এ দম্পতি তাঁদের এ বাড়িতে ওঠেন। তখন থেকেই তাঁরা বাড়ির সব বিল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গ্যাস কারা সরবরাহ করছে, তা তাঁরা জানতে পারছিলেন না। উপায় না পেয়ে ন্যাশনাল গ্রিড এবং হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন। ২০০৬ সালের দিকে লেখা এসব চিঠি প্রমাণ করে, তাঁরা তখন কতটা চেষ্টা করেছিলেন।
লি হেইনস একটি স্কুলে সাইট কর্মী হিসেবে কর্মরত। বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য! এ নিয়ে আমি যে ভয় পাচ্ছিলাম, সেটাই সত্যি হলো।’
লি হেইনস আরও বলেন, ‘এটা খুব উদ্ভট ঘটনা। কয়েক মাস পর (বাড়িতে ওঠার) আমরা সবকিছুরই বিল পেলাম। কিন্তু গ্যাস বিল পেলাম না। হুট করে বিপুল পরিমাণ বিল হাতে পাব বলে আশঙ্কা করছিলাম। সে কারণে কারা আমাদের গ্যাস সরবরাহ করছে, তা জানতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিও সংশ্লিষ্ট সব সরবরাহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও কোনো উপায় বলতে পারেননি। এরপর ওই ব্যক্তি পরামর্শ দেন বিষয়টি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার জন্য। আমরা তা–ই করেছি।’
গত মার্চ মাসে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি ক্যাডেন্টের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়ে এ দম্পতি হতবাক হন। চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁদের বাড়ি পরিদর্শন করতে চান। আর তিন মাস পর তাঁদের কাছে ১০ হাজার ৮২৪ পাউন্ডের বিল পাঠাল ক্যাডেন্ট।