মিখাইল কাভেলাশভিলি
মিখাইল কাভেলাশভিলি

সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সাবেক ফুটবলার

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের সাবেক ফুটবলার মিখাইল কাভেলাশভিলিকে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে দেশটির পার্লামেন্ট। জর্জিয়ার বিভিন্ন শহরে ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীদের বিক্ষোভের ১৬ দিন পর দেশটির পার্লামেন্ট আজ শনিবার এ নিয়োগ চূড়ান্ত করছে।

৫৩ বছর বয়সী মিখাইল কাভেলাশভিলি ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম দলের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তিনিই একমাত্র প্রার্থী।

প্রধান চারটি বিরোধী দল কাভেলাশভিলিকে প্রত্যাখ্যান এবং পার্লামেন্ট বর্জন করেছে। তাদের অভিযোগ, অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।

পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত জর্জিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সালোম জুরাবিচভিলি এই প্রেসিডেন্টের নিয়োগের উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছেন। কাভেলাশভিলির নির্বাচিত হওয়াকে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করে জুরাবিচভিলি বলেছেন, তিনিই জর্জিয়ার একমাত্র টিকে থাকা বৈধ প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে রেখেছেন।

জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট জুরাবিচভিলি জর্জিয়ার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। তিনি জোরালোভাবে বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হলে প্রেসিডেন্ট জুরাবিচভিলিকে পদত্যাগ করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার কোবাখিদজে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো খুব শক্তিশালী। সুতরাং পরিস্থিতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিতভাবেই কোনো জটিলতা পোহাতে হবে না।’

জুরাবিচভিলির নিজ দলের নেতা নিনো তিসিলোসানি সাংবাদিকদের বলেন, জুরাবিচভিলিকে এখন আর জনগণ প্রেসিডেন্ট বলে মনে করেন না।

গত অক্টোবরের নির্বাচনের পর পরই জর্জিয়ান ড্রিম দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনা ২০২৮ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে বলে গত ২৮ নভেম্বর জর্জিয়া সরকার ঘোষণা দেওয়ার পর বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

জর্জিয়ার নাগরিকদের একটা বড় অংশ চায়, দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হোক। নতুন নির্বাচনের দাবিতে ইইউর পতাকা নিয়ে প্রতি রাতেই পার্লামেন্টের বাইরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন।

প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিতে আজ পার্লামেন্টে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভোটাভুটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সারা দেশে জর্জিয়ান ড্রিম দলের প্রতি অনুগত পার্লামেন্ট সদস্য এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ইলেকটোরাল কলেজের ৩০০ সদস্য সরাসরি ব্যালটে ভোট দেবেন।

কাভেলাশভিলি পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। জর্জিয়ায় পশ্চিমাবিরোধী প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে তাঁকে প্রধান কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।