তুরস্কে ভোটের ফলে এগিয়ে এরদোয়ান

ভোট দিচ্ছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইস্তাম্বুল, তুরস্ক, ১৪ মে
ছবি: এএফপি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ খবর পাওয়া (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫ মিনিট) পর্যন্ত বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।

তুরস্কের স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে।

আধুনিক তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে এটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন। দেশটিতে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না, তা আজকের নির্বাচনে নির্ধারিত হবে।

তুরস্কের নির্বাচনসংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, ভোটের দিন রাত নয়টা পর্যন্ত ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের সংবাদ প্রকাশ নিষিদ্ধ।

তবে তার্কিশ সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ড স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে নির্বাচনের ফলাফল সম্প্রচারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, নির্বাচনে বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ৮৫ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুর নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) মুখপাত্র ফাইক ওজতারাক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটের ফলাফলে তাঁর দল ‘ইতিবাচক ছবি’ দেখতে পাচ্ছে। তবে তাদের অভিযোগ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু ভোটের ফল হেরফের করছে। আনাদোলু আগের নির্বাচনেও এমনটাই করেছিল। এটা তাদের ঐতিহ্য।

এরদোয়ানের সমর্থকদের উল্লাস। ইস্তাম্বুল, তুরস্ক, ১৪ মে

কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন, তাহলে নির্বাচন দ্বিতীয় পর্বে গড়াবে। সে ক্ষেত্রে ২৮ মে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে।

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের তিন মাস পর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে।

ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক। সাড়ে আট কোটি মানুষের বসবাস দেশটিতে। এরদোয়ানের সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে। তুরস্কের অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রনীতি অপ্রত্যাশিত দিকে মোড় নিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশটি কীভাবে পরিচালিত হবে, তা–ও নির্ধারিত হবে আজকের ভোটে।