পুতিনকে কি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন ভাগনার–প্রধান

  • প্রিগোজিনের রেস্তোরাঁয় পুতিনের যাতায়াতের সুবাদে দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।

  • পুতিন রুশ প্রেসিডেন্ট হলে ভাগ্য খুলে যায় ভাগনার–প্রধান প্রিগোজিনের।

  • রাজনীতিতে প্রিগোজিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ভাবিয়ে তুলেছে ক্রেমলিনকে।

পুতিন ও ইয়েভজেনি প্রিগোজিন

ভাগনার গ্রুপের পরিচয় পুতিনের ভাড়াটে সেনা হিসেবে। এ ভাড়াটে বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া একটি বিশাল ইন্টারনেট ট্রল ফার্মের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন প্রিগোজিন। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি পুতিনের জন্য হুমকি?

নাকি ক্রেমলিন নেতা যা চাইছেন, সেটিই পালন করে যাচ্ছেন তিনি? রুশ বেসরকারি সামরিক সংস্থা ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভেনি প্রিগোজিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। রুশ সামরিক কমান্ড সম্পর্কে তাঁর কঠোর এবং অভূতপূর্ব সমালোচনা করায় তাঁকে পুতিনের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে দেখা শুরু হয়ে গেছে।

কিন্তু প্রিগোজিনকে যতটা প্রভাবশালী বলে মনে হচ্ছে, তিনি ততটা প্রভাবশালী কি না, সে প্রশ্নও থাকছে। ভাড়াটে বাহিনী ভাগনার গ্রুপ মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে এর নিষ্ঠুরতা এবং নির্মম কৌশলের জন্য কুখ্যাত। ইউক্রেন যুদ্ধে ইতিমধ্যে এ বাহিনী তাদের নির্মমতা দেখিয়েছে। বিভিন্ন ভিডিওতে ইউক্রেন সেনা এবং তাদের দলত্যাগী যোদ্ধাদের মৃত্যুদণ্ডের নৃশংস দৃশ্য প্রচার করেছে এ বাহিনী।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোনে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ধারণা করা হয়, ভিডিওটি ভাগনার গ্রুপের বলে মনে করা হয়। ভিডিওতে ভাগনারের এক যোদ্ধা ও দিমিত্রি ইয়াকুশচেঙ্কো নামের এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। ভিডিওতে ইয়াকুশচেঙ্কোকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিতে হত্যার ঘটনা দেখানো হয়।

ভাগনার গত বছর হাতুড়িকে তাদের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে। গত বছর ভাগনার গ্রুপ থেকে দলত্যাগী একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে হাতুড়ি ব্যবহার করার পরে তারা এটিকে প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছে।

রুশ স্বাধীন গণমাধ্যম নোভায়া গেজেটাতে কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রেই কোলেসনিকভ লিখেছেন, প্রিগোজিন যা আসলে দিচ্ছেন, তা প্রকাশ্য নিষ্ঠুরতা। এটি আসলে যা–ই হোক না কেন, তা প্রদর্শন করার, ট্রল করার বা ব্যাপক কর্মক্ষমতা দেখানোর মতো বিষয়। এটি শুধু সহিংসতার বিজ্ঞাপন প্রচারের মতো বিষয়ে আটকে থাকে না।

বন্দীজীবন থেকে হটডগ বিক্রেতা

১৯৬১ সালে প্রিগোজিন লেলিনগ্রাদে (বর্তমান সেন্ট পিটার্সবার্গ) জন্মগ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, প্রিগোজিনের জীবনের প্রথম ২০টি বছর সোভিয়েত কারাগারে কেটেছে। তিনি ডাকাতি ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মুক্তি পেয়ে প্রিগোজিন উদ্যোক্তা হওয়ার পথ বেছে নেন। তিনি নিজ শহরে হটডগ বিক্রি শুরু করেন।

এরপর অবশ্য তিনি আরও বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেন। বিশেষ করে সেন্ট পিটার্সবার্গে তিনি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ চালু করেন। এই রেস্তোরাঁ রুশ অভিজাত শ্রেণির মানুষের দেখা–সাক্ষাতের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে ওঠে। বিশেষ করে তখনকার উপ–মেয়র পদে থাকা পুতিনের যাতায়াত ছিল এই রেস্তোরাঁয়।

রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণির সঙ্গে সুস্পর্কের সুফল পেতে শুরু করেন প্রিগোজিন। পুতিন প্রেসিডেন্ট হলে দ্রুত প্রিগোজিনের ব্যবসা ফুলে–ফেঁপে ওঠে। নব্বইয়ের দশকে প্রিগোজিনের ক্যাটারিং কোম্পানি কনকর্ড চালু হয়। তিনি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে আকর্ষণীয় সুযোগ পেতে থাকেন। এর মধ্যে পুতিনের অভিষেক অনুষ্ঠানও ছিল। সেন্ট পিটার্সবার্গের এই রেস্তোরাঁয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও অতিথি হয়েছিলেন। পুতিনের সঙ্গে চুক্তির কারণে প্রিগোজিনের পরিচয় দাঁড়ায় ‘তিনের শেফ’ হিসেবে। তবে প্রিগোজিন তাঁর লক্ষ্য শুধু ক্যাটারিং খাতে সীমাবদ্ধ রাখেননি।

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও রুশ বাহিনীকে সহায়তা

১৪ ফেব্রুয়ারি প্রিগোজিন স্বীকার করেন, ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সির পেছনের মানুষ তিনিই। এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত ট্রল ফ্যাক্টরির নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিচিত। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি ব্যাপক ভুয়া তথ্য প্রচার করে থাকে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে তারা এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়। তবে এ অভিযোগ অবশ্য প্রিগোজিন ও তাঁর আইনজীবী অস্বীকার করে আসছেন।

রুশ ট্রল ফার্মের সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকা নিয়ে যেসব সাংবাদিক প্রতিবেদন লিখেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রিগোজিন। ২০১৪ সালে এসে প্রিগোজিন ভাড়াটে সেনা সরবরাহের প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপ খোলেন। ট্রল ফ্যাক্টরিজের মতোই তিনি ভাগনার গ্রুপের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে আসছিলেন। তবে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি স্বীকার করেন, ভাগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা তিনিই।

রুশ বিশ্লেষক আলেকজান্দ্রা প্রকোপেঙ্কো ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রিগোজিনের ভাড়াটে সেনারা মূলত পুতিনকে নানাভাবে ‘সেবা’ দিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, প্রিগোজিন মূলত তাঁর বস ও বসের কাছের লোকজনের জীবনকে বিভিন্ন দিক থেকে সহজ করে তুলেছেন, যেখানে তাঁরা প্রকাশ্যে ও আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িত হতে চান না। উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে এই বাহিনীর কর্মকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরা যায়। এ ছাড়া আফ্রিকা ও সিরিয়াতেও এ বাহিনী কাজ করছে। ভাগনারের ভাড়াটে সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে সরসারি লড়াইয়ের পাশাপাশি কিছু তেলসমৃদ্ধ স্থাপনাগুলো পাহারার কাজও করছে।

ভাগনার গ্রুপ বনাম রুশ বাহিনী

২০১৪ সালে ভাগনারের ভাড়াটে সেনারা প্রথম ইউক্রেনে তাদের কাজ শুরু করে। তারা মূলত ক্রিমিয়াকে দখলে নিয়ে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর ভাগনার বাহিনী বিভিন্ন লড়াইয়ে সহায়তা করেছে। তীব্র লড়াইয়ে তাদের যোদ্ধাদের এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা পূর্ব ইউক্রেনে ক্রেমলিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠেছে।

গত মাসে ভাগনার গ্রুপ দাবি করে, তারা ইউক্রেনের সোলেদার শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। লড়াই শুরুর পর থেকে একে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে মস্কো।

ভাগনার গ্রুপের দক্ষতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব প্রিগোজিনকে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিব্রতকর কথা বলার সুযোগ এনে দিয়েছে। রুশ বাহিনীর গোলাবারুদের অভাব নিয়ে জনরোষের মধ্যে তিনি রুশ নেতাদের অদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৭ মিনিটের এক অডিও ভাষণে প্রিগোজিন তাঁর সৈন্যদের গোলাবারুদ না দেওয়ায় রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের বিশ্বাসঘাতক বলে উল্লেখ করেন।

প্রিগোজিন অভিযোগ তোলেন, ‘আমি আমার সব যোগাযোগ এবং পরিচিতি সত্ত্বেও সমস্যাটি সমাধান করতে অক্ষম।’ তিনি রুশ কমান্ডারদের তাঁর যোদ্ধাদের গোলাবারুদ দিতে, তাঁদের ক্ষমা চাইতে ও তাঁকে মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অবশ্য প্রিগোজিনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, প্রিগোজিনের অভিযোগ অসত্য। পরের দিন আরেকটি অডিও বার্তা দেন প্রিগোজিন। তাতে তিনি বলেন,  সামরিক কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড ভাগনারের সদস্যদের দিকে থুতু ফেলা ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রিগোজিন ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। তিনি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সৌইগু ও শীর্ষ রুশ জেনারেল ভ্যালেরি গিয়ারসমোভকে আক্রমণ করেন। অথচ বর্তমান রুশ বাহিনীর আধুনিকায়নে এই দুজনের অবদান রয়েছে। প্রিগোজিন তাঁর সাম্প্রতিক সমালোচনায় ইউক্রনের বাখমুত শহর দখলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পেছনে সামরিক আমলাতন্ত্রকে অভিযুক্ত করেন। বাখমুত শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মাস ধরে রুশ ও ইউক্রেন বাহিনীর লড়াই চলছে। এতে দুই পক্ষেই হতাহতও বাড়ছে।

রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রিগোজিন বলেন, ‘আমাদের দৈত্যসম সামরিক আমলাতন্ত্র না থাকলে নতুন বছরের আগেই বাখমুত দখলে চলে আসত।’

বাখমুত এখন যুদ্ধের কেন্দ্র

বিশ্লেষক কোলেসনিকভ বলেন, রুশ একনায়কতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সামরিক কর্মকর্তাদের সমালোচনা করার অধিকার শুধু পুতিনের রয়েছে। তিনি বলেন, সামরিক জেনারেলদের চাপে রাখতে পুতিনের প্রয়োজন প্রিগোজিনকে। এভাবেই পুতিন বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কাজ করে থাকেন।

তাদের একে অন্যের বিরুদ্ধ লাগিয়ে রাখেন। তাদের ওপরে চোখ রাখেন, যাতে তাদের কেউ অত্যন্ত শক্তিশালী না হয়ে ওঠে। রুশ সামরিক বাহিনীর পোশাক প্রিগোজিনের পরণে থাকলেও গত জানুয়ারিতে গিয়ারিসমভকে পদোন্নতি দিয়ে শীর্ষ জেনারেল পদে বসান পুতিন। তাঁকে ইউক্রেন যুদ্ধের কমান্ডার বানান।

ক্রেমলিনের সবার মাথাব্যথা

প্রিগোজিন এত দিন গণমাধ্যমের সামনে আসেননি বললেই চলে। একসময় গণমাধ্যম থেকে দূরে থাকা প্রিগোজিন ইউক্রেন যুদ্ধে মুখর হয়ে উঠেছেন। তাঁর ক্রমবর্ধমান প্রচার সম্ভাব্য রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। স্বাধীন রাশিয়ান ওয়েবসাইট মেডুজা অনুসারে, প্রিগোজিন দেশপ্রেম ও রক্ষণশীল আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনা করছেন, যা মূলত একটি রাজনৈতিক দলে রূপ নেবে। অবশ্য তিনি এমন কিছু করার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেন।

কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশ্লেষক তাতিয়ানা স্ট্যানোভায়া লিখেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রিগোজিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ক্রেমলিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারকেরা তাঁর রাজনৈতিক গণতন্ত্র পছন্দ করেন না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণ, রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি দিয়ে পুতিনের কর্মীদের ট্রলের চেষ্টার মতো বিষয়গুলোর কারণে ক্রেমলিনের সবার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রিগোজিন।

প্রিগোজিনের লাগাম টেনে ধরতে ক্রেমলিন ভাগনার বাহিনীতে অপরাধীদের নিয়োগে কড়াকড়ি আরোপ করছে। এতে বাহিনীতে জনশক্তি নিয়োগে তাঁর ক্ষমতা কমে গেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ভাগনারে নিয়োগ পাওয়া সেনাদের ৮০ শতাংশই অপরাধী। রুশ সামরিক ব্লগারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিগোজিন স্বীকার করেন, বিভিন্ন অপরাধে সাজা খাটা বা কারাগারে বন্দী ব্যক্তিদের নিয়োগ না দিতে তাঁকে বলা হয়েছে। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের ভূমিকা সীমিত হয়ে আসবে।

কোলেসনিকভ বলেন, প্রিগোজিনকে যে পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে, তা থেকে বেরোনোর একমাত্র উপায় রাজনীতির পথ বেছে নেওয়া। তাঁকে আইনি রাস্তায় আনতে চান না পুতিন। সেটা করতে গেলে প্রিগোজিনকে রাজনীতিবিদ হিসেবে শক্তিশালী করা হবে। যত দিন ভ্লাদিমির পুতিন সূক্ষ্মভাবে রাজনৈতিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন, তত দিন তিনি সঠিক সময়ে দাবাবোর্ড থেকে প্রিগোজিনকে প্রত্যাহার করতে পারবেন। এবং প্রিগোজিনকে তাঁর স্বাভাবিক জায়গায় ফিরিয়ে দিতে পারবেন। প্রিগোজিনের জন্য সেই জায়গাটি হচ্ছে আড়ালের রাজনীতি।