যুক্তরাজ্যের সাসেক্স অঞ্চলের ওয়ার্দিং বারা কাউন্সিলের সিভিক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইবশা চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার কাউন্সিল ভবনের পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিল সভায় কাউন্সিলরদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। আগামী এক বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
এই কাউন্সিলে লেবার পার্টি থেকে ইবশা চৌধুরীই প্রথম মুসলিম পুরুষ মেয়র। তা ছাড়া ৪১ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সর্বকনিষ্ঠ মেয়র। গত এক বছর তিনি ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফেরদৌসী বেগম মেয়র ছিলেন।
২০১৯ সালে লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে কাউন্সিলর, কাউন্সিলর থেকে ডেপুটি মেয়র ও শেষে মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন ইবশা।
২০২১ সালে ইবশা ক্যাসেল ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর আগে লেবার পার্টি কখনোই এই ওয়ার্ড থেকে জিততে পারেনি। একই সঙ্গে তিনি ওয়ার্দিং টাউন ফুটবল ক্লাবের ইকুয়ালিটি অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন।
করোনা মহামারি চলাকালে ইবশা সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এ সময় ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) খাবারের সমন্বয় ও সরবরাহে সাহায্য করে বেশ আলোচিত হন তিনি।
ইবশার জন্ম বাংলাদেশের সিলেট শহরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের খুররামখলা আবাসিক এলাকায়। তিনি সিলেট এমসি কলেজে লেখাপড়া করেন। ২০০০ সালে তিনি পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
গোলাম রাব্বানী আমোদ চৌধুরী ও জেবু সুলতানা চৌধুরীর চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় ইবশা চৌধুরী। পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া ইবশা চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সিভিল এনফোর্সমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি সাসেক্স পুলিশের ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার গ্রুপের অ্যাডভাইজার পদেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মেয়র পদে আসীন হয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইবশা চৌধুরী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি মোহ কাজ করে। সেই তাগিদ থেকে যুক্তরাজ্যের মূল ধারার রাজনীতিতে যোগ দিই। সব শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য সমানাধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছি। ভবিষ্যতে একজন বাংলাদেশি হিসেবে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।’