পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখলের দাবি করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এ নিয়ে রুশ সেনাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমন সময়েই ইউক্রেনের জন্য সুসংবাদ দিল পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরও ভারী সমরাস্ত্র পেতে পারে কিয়েভ।
যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে একহাত নিতে অনেক আগে থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্র চাইছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলতি মাসের শুরুতে তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান পাঠানোর ঘোষণা দেয় ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ গত শনিবার কিয়েভকে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ভারী ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এরপর গতকাল রোববার জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যমকে ন্যাটোর প্রধান জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেন বলেছে নিজেদের সুরক্ষার জন্য তাদের সাঁজোয়া যান, কামান ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন। এসব অস্ত্র পাঠানোর জন্য তারা মিত্রদের কাছে আহ্বানও জানিয়েছে। এর জেরে তারা আরও ভারী অস্ত্রশস্ত্র পাওয়ার আশা করতেই পারে।
এ সময় ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অস্ত্রসহায়তার ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে ন্যাটোপ্রধান বলেন, ‘সম্প্রতি ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি এসেছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। আর আমি আশা করি, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও অস্ত্র দিয়ে দেশটিকে সহায়তা করা হবে।’
এদিকে সোলেদার শহর দখলের দাবির কয়েক দিন পর রোববার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘যুদ্ধে একটি ইতিবাচক গতি এসেছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। আশা করি, আমাদের যোদ্ধারা আরও বহুবার এভাবেই আমাদের খুশি করবেন।’ তবে সোলেদার দখলে রাশিয়ার দাবি নাকচ করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে ব্রিটেনের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার বলেছেন, বিশেষ সামরিক অভিযান চলবে। এই ট্যাংকগুলো এখন আগুনে পুড়ছে, ভবিষ্যতেও পুড়বে। এদিকে এই ট্যাংক সরবরাহ যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবে উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের মতো পশ্চিমা দেশগুলোর ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনবে না।