যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন কিয়েভ সফরে গিয়ে আজ শুক্রবার এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডকেও লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারবে।
ক্যামেরন কিয়েভ সফরে গিয়ে আরও বলেছেন, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেওয়া হবে।
ক্যামেরন বলেন, রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায়।
এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ‘আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি।’
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র পেসকভ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে।
পেসকভ বলেন, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।
রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।