পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত শহর দোনেৎস্কে ক্রমিক বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। খবর বিবিসির
শহরটির রুশ-সমর্থিত মেয়র অ্যালেক্সি কুলেমজিন বলেছেন, ইউক্রেনের গোলা হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইউক্রেন এ হামলা চালিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার ছায়া কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দোনেৎস্ক। শহরটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করে আসছে দোনেৎস্ক কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরটির পশ্চিম দিকে অবস্থিত একটি গ্রাম থেকে দোনেৎস্কের কুইবিশেভস্কি জেলায় ৯টি ১৫০ এমএম গোলা ছোড়া হয়েছে।
স্থানীয় নেতা ডেনিস পুশিলিন অভিযোগ করে বলেন, ইউক্রেন ইচ্ছাকৃতভাবে একটি বাসস্টপ, একটি দোকান ও একটি ব্যাংকে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
দোনেৎস্কের রুশ-সমর্থিত কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেনীয় বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মতো দক্ষিণাঞ্চলেও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। চলতি মাসে উত্তরাঞ্চলীয় খারকিভে তারা সবচেয়ে নাটকীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।
পূর্বের লুহানস্ক অঞ্চলের ইউক্রেনীয় প্রধান সেরহি হাইদাই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ইউক্রেনীয় ট্যাংক একটি ভাসমান সেতু পার হচ্ছে।
হাইদাই বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা এখন ওস্কিল নদীর বাঁ পাশের তীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এটিকে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সম্মুখভাগ হিসেবে দেখা হয়।
ইউক্রেনীয় বাহিনী যদি ওস্কিলের পূর্ব দিক নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তাহলে তা হবে তাদের জন্য বড় সাফল্য।
হাইদাই বলেন, তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে লাইমান শহরকে মুক্ত করা। গত মে মাসে রুশ বাহিনী শহরটি দখল করেছিল।
হাইদাই আরও বলেন, লুহানস্ক পুনরুদ্ধার হতে খুব বেশি দেরি নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত রোববার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোকে স্থবির মনে হতে পারে।
কিন্তু তেমনটা থাকবে না। পরবর্তী অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। পুরো ইউক্রেন অবশ্যই মুক্ত হবে। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হামলার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।