নিজেদের বানানো বিশালাকারের টুথব্রাশ ও বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতির সনদ হাতে শন ব্রাউন ও রুথ আমোস
নিজেদের বানানো বিশালাকারের টুথব্রাশ ও বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতির সনদ হাতে শন ব্রাউন ও রুথ আমোস

টুথব্রাশ বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড

একটি টুথব্রাশ কত বড় হতে পারে—এমন প্রশ্ন করা হলে যেসব জবাব আসবে, তাতে হয়তো অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিন্তু কেউ যদি বলেন, তা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি, তাহলে নিশ্চয়ই চোখ কপালে উঠবে আপনার। এমন অবাক করা মাপের একটি টুথব্রাশই বানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালের শন ব্রাউন (৩৩) এবং শেফিল্ডের রুথ আমোস (৩৪)।

এই ‘জায়ান্ট’ টুথব্রাশ বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের খাতায় নাম উঠেছে শন ও রুথের। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলেছে, এটি একটি ইলেকট্রিক টুথব্রাশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রিক টুথব্রাশও বটে এটি, যা লম্বায় (৬ ফুট ৭ ইঞ্চি) গড়পড়তা একটি উটের চেয়ে বড়।

এবারই প্রথম নয়, এ পর্যন্ত ৭০টির বেশি বিভিন্ন জিনিস বানিয়েছেন শন-রুথ। তাঁরা দুজনে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। চ্যানেলটি ৪ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য। তাই শিশুদের উপযোগী আধেয় বানান শন ও রুথ। বিভিন্ন নজরকাড়া জিনিস বানিয়ে শিশুদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন দুজনে। পুরো প্রক্রিয়া ভিডিও করে নিজেদের চ্যানেলে ছাড়েন তাঁরা।

ওই চ্যানেলে শিশুদের কাছ থেকেও বিভিন্ন মজার ও নজরকাড়া ধারণা (আইডিয়া) চাওয়া হয়। জর্জ নামের ১১ বছর বয়সী একটি শিশু বড়সড় টুথব্রাশ বানানোর ধারণা দেয়। দিন পাঁচেক সময় নিয়ে সেটিই বাস্তব করে দেখিয়েছেন শন ও রুথ। তাঁদের বানানো টুথব্রাশটি অনলাইনে বেশ সাড়া ফেলেছে।

মজার বিষয়, শন ও রুথের বানানো টুথব্রাশটি এতটাই বড় যে সেটি দিয়ে দাঁত মাজা যাবে না। এমনকি ওয়াশরুমে বা বেসিনের সামনে রাখার জন্যও এটি বেশ বড়।

শনের বয়স যখন ১৯ বছর, তখনই তিনি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কম বয়সী প্রকৌশলীর পুরস্কার পান। তবে গতানুগতিক একজন প্রকৌশলী হতে চাননি তিনি। এ জন্য বেছে নিয়েছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল ও শিশুদের জন্য কাজ করা। ওয়েবসাইটে বলা হয়, শন একজন নকশাবিদ ও অত্যন্ত সৃজনশীল মানুষ। অন্যদিকে রুথ একাধিক পুরস্কার পাওয়া একজন উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা।