যুক্তরাজ্যের কৃষক জেমস স্টিল হাতে থাকা দামি রোলেক্স ঘড়িটি খুঁজে না পেয়ে ভেবেছিলেন, ঘাসের সঙ্গে ‘গরু হয়তো ঘড়িটি গিলে ফেলেছে’। কিন্তু সেই সত্তরের দশকের প্রথম দিকে হারিয়ে যাওয়া ওই ঘড়ি যে ৫০ বছর পর তিনি ফেরত পাবেন, তা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি।
শ্রপশায়ারের এই কৃষকের বয়স এখন ৯৫ বছর। ঘড়িটি হারিয়ে যাওয়ার ‘খানিক আগেই’ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, সেটির চেইন ভেঙে গেছে।
বিবিসিকে জেমস বলেন, ‘মনে হয়েছিল, গরুটি মুখভর্তি ঘাসের সঙ্গে ঘড়িটিও গিলে ফেলতে পারে।’
শ্রপশায়ারের ওসওয়েস্ট্রির মরডা গ্রামের বাসিন্দা জেমস ভেবেছিলেন, তিনি আর কোনো দিন ঘড়িটি খুঁজে পাবেন না। তিনি সেই বাস্তবতা মেনেও নিয়েছিলেন। অথচ তাঁর জমি থেকেই সেই ঘড়ি উদ্ধার হয়েছে।
ধাতুর খোঁজে মেটাল ডিক্টেটর দিয়ে জমিতে তল্লাশি চালানোর সময় একজন ঘড়িটি খুঁজে পান এবং জেমসকে তা ফিরিয়ে দেন।
ঘড়িটি খুঁজে পাওয়ার ঘটনাকে ‘সৌভাগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন জেমস। তিনি বলেন, এটা দারুণ, বিশেষ করে এই সময়ে।
জেমস বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আমি কখনো ভাবিনি ঘড়িটিকে আবার দেখতে পাব। কিন্তু এখন এটি আমার হাতে। যদিও সেটির কেবল অর্ধেকটা চেইন আছে। বাকি অর্ধেক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
অবশ্য ঘড়িটি খুঁজে পেলেও সেটি এখন আর সচল নয়। সেটির রংও কিছুটা সবুজাভ হয়ে গেছে। কিন্তু সেটিতে মরিচা ধরেনি বলে জানান এই কৃষক।
যিনি ঘড়িটি খুঁজে পেয়ে জেমসকে ফেরত দিয়েছেন, তাঁর প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তি চাইলে খুব সহজেই মিথ্যা বলে ঘড়িটি ফেরত না–ও দিতে পারতেন।
জমিতে আরও মূল্যবান জিনিস পাওয়া যাবে। তাই তিনি ওই ব্যক্তিকে তাঁর জমিতে ধাতুর খোঁজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।
ঘড়িটি স্মারক হিসেবে রেখে দেবেন জানিয়ে জেমস বলেন, এটি এখন ‘অমূল্য’।
বিশ্বে বিলাসবহুল হাতঘড়ির জগতে অন্যতম নাম রোলেক্স। ১৯০৫ সালে যাত্রা শুরু করা কোম্পানিটি বিশ্বে প্রথম ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী ঘড়ি প্রস্তুত করে। রোলেক্সের দামি ঘড়িগুলো সব কোটি টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে কম দামি ঘড়িটির দামও বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকার বেশি।