বাখমুত যুদ্ধে যেভাবে এগিয়েছে ভাগনার বাহিনী

বাখমুতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভাগনার গ্রুপ। ভাড়াটে এই সেনা দলের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন
ফাইল ছবি রয়টার্স

ইউক্রেনের পূর্ব দনবাস অঞ্চলের বাখমুত শহর ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে রুশ ও ইউক্রেন বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। রুশ ভাড়াটে সেনাদল ভাগনার গ্রুপ বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। তবে কিয়েভ বলছে, লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের টাইমলাইন:

২০২২ সালের ৮ মে

বাখমুত থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরের পপাসনা শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেয় ইউক্রেন। এতে ওই শহর থেকে বাখমুতে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

২০২২ সালের ৯ আগস্ট

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, এক মাসের মধ্যে বাখমুতে সফল অভিযান চালায় রুশ বাহিনী। ওই সময় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এগিয়ে যায় তারা।

২০২২ সালের ৮ অক্টোবর

বাখমুতে লড়াই শুরু করে ভাগনার গ্রুপ।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কাছে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন ভাগনার গ্রুপের গুরুত্ব বেড়েছে

২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘বাখুমতের পরিস্থিতি খুব জটিল। আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি।’

২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর

জেলেনস্কি আকস্মিক সফরে বাখমুতে যান। তিনি সেনাদের লড়াই চালিয়ে যেতে উৎসাহ দেন।

২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বাখমুতের উত্তরাঞ্চলের সোলেদার শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেয়। দুই সপ্তাহ পর ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন সোলেদারে সেনাদের সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশ করেন।

২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি

জেলেনস্কি বলেন, যত দিন প্রয়োজন বাখমুতে লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি বাখমুতকে দুর্গ বলে মন্তব্য করেন।

২০২৩ সালের ১০ মার্চ

বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে কিয়েভের মিত্ররা। তবে ইউক্রেন বাখমুতে হামলা জোরদার করার কথা জানায়।

২০২৩ সালের ২২ মার্চ

বাখমুতের কাছে একটি শহর সফরে যান জেলেনস্কি। সেনাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এ সময়।

ভাগনার গ্রুপের প্রধান কার্যালয় রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। এই শহরেই জন্ম পুতিন ও প্রিগোশিনের

২০২৩ সালের ২ এপ্রিল

প্রিগোশিন বাখমুতের সিটি হলে রুশ পতাকা ওড়ান। তিনি বলেন, এ ভবন দখল করা মানে বাখমুত রাশিয়ার অধীন চলে আসা। ইউক্রেন তাঁর দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল

প্রিগোশিন দাবি করেন, বাখমুতের ৮০ শতাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে ইউক্রেন তা প্রত্যাখ্যান করে।

২০২৩ সলের ১ মে

ইউক্রেনের সেনারা দাবি করেন, তাঁরা ব্যাপক লড়াই করে কিছু এলাকায় রুশ সেনাদের পিছু হটিয়েছেন।

২০২৩ সালের ১০ মে

রুশ সেনাদের কিছু এলাকায় দুই কিলোমিটারের বেশি পিছু হটানো সম্ভব হয়েছে।

২০২৩ সালের ১৯ মে

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাখমুত দখলের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। তবে তাদের আক্রমণ ঠেকানো হয়েছে। প্রিগোশিন বলেন, রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। সেনারা বাখমুতের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে।

২০২৩ সালের ২০ মে

প্রিগোশিন বাখমুতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেন। ইউক্রেন জানায়, তাদের পরিস্থিতি জটিল। তবে তাদের সেনারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভাগনার ও রুশ সেনাদের অভিনন্দন জানান।