রাশিয়ার রাজধানী মস্কো সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এর মধ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আকস্মিক সফরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংহতি ও অটুট সমর্থনের বার্তা নিয়ে কিয়েভে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
গতকাল সোমবার ভারতে ছিলেন কিশিদা। দিল্লি থেকে টোকিও ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আকস্মিকভাবে তিনি গন্তব্য বদলে ফেলেন। টোকিও না ফিরে তাঁর উড়োজাহাজ পোল্যান্ডে অবতরণ করে। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে যাচ্ছেন তিনি।
কিয়েভ সফর শেষে আগামীকাল বুধবার পোল্যান্ডে ফিরতে পারেন ফুমিও কিশিদা। পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁর জাপানে ফেরার কথা রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পর ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর নেতা হিসেবে ফুমিও কিশিদা কিয়েভ সফর করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রী সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্র সফর করছেন।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকেসহ দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত-প্রচারিত খবরে একটি ছবি দেখানো হয়েছে। ছবিটি ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী একটি পোলিশ শহরে তোলা। ওই ছবিতে একটি প্রাইভেট কারে চড়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে যেতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ফুমিও কিশিদা সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে কিয়েভে রওনা হয়েছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার মস্কো সফরে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত তাঁর মস্কোয় থাকার কথা রয়েছে। সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সি চিন পিং। চীনের প্রেসিডেন্ট মস্কোয় পৌঁছানোর পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো বলেন, ‘আমরা আশা করি, মস্কোর ওপর বেইজিং তার প্রভাব খাটিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া আগ্রাসন বন্ধ করবে।’
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে কিয়েভকে সরাসরি সমর্থন দিয়ে আসছে জাপান। ইউক্রেনের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে টোকিও। কিয়েভের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে টোকিও।