ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল
ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনলাইনে নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন, অভিযোগ মেগানের

দুই সন্তানের ক্ষেত্রেই অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় ‘ঘৃণ্য’ অনলাইন নিপীড়নের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটেনের ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল। তিনি ইন্টারনেট ও কিছু গণমাধ্যমে মানবতা নেই বলেও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে বিষাক্ততা ছড়ানো হচ্ছে।

মেগান ২০১৮ সালে রাজা চার্লসের দ্বিতীয় সন্তান হ্যারিকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে আর্চির বয়স ৪ আর লিলিবেটের বয়স ২ বছর।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আয়োজিত এসএক্সএসডব্লিউ নামের এক অনুষ্ঠানে মেগান মার্কেল তাঁর অনলাইন অভিজ্ঞতা নিয়ে কথাবলেন। মেগান বলেন, ‘আর্চি ও লিলি গর্ভেথাকা অবস্থায় ও নবজাতক থাকাকালে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে নিপীড়নের শিকার ও অপব্যবহারের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম।’

মেগান বলেন, ‘ওই পরিস্থিতির কথা ভাবলে সত্যিই মাথা ঘুরে যাবে যে কেমন করে মানুষ এত ঘৃণ্য হতে পারে। ডিজিটাল ক্ষেত্র ও গণমাধ্যমের কিছু অংশে আমরা আমাদের মানবতা ভুলে যাই। এটা পরিবর্তন করতে হবে।’

নিজের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে হ্যারি ও মেগান রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন। রাজপরিবারের অংশ হয়ে থাকতে হ্যারি ও মেগানকে ওই সময় কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন দুজন। রাজপরিবারের কঠিন সময়ে মেগান সেখানে যুক্ত হন। চার্লসের ক্যানসারের চিকিৎসা ও হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন তখন সবে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন।

হ্যারি বলেন, ওই সময় তাঁর বাবার ক্যানসারের চিকিৎসা পুরো পরিবারকে আবার কাছে আসতে সাহায্য করেছিল।