ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় স্লোভিয়ানস্ক শহরে শুক্রবার আবাসিক কয়েকটি ভবনে গোলা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে এক শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। শিশুটিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত অবস্থায় বের করা হয়েছিল। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে সে মারা যায়।
এমন সময়ে স্লোভিয়ানস্ক শহরে হামলা হলো যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। আইনটি কার্যকর হলে এর আওতায় নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা ও দেশ থেকে তাদের পালিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে সহায়ক হবে।
রাশিয়া আরও বলেছে, তারা স্লোভিয়ানস্ক থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাখমুতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেন যে শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে আছে তার একটি এটি।
দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি অংশে স্লোভিয়ানস্কের অবস্থান।
শুক্রবার বিমান হামলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন তছনছ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেন, ‘২১ ব্যক্তি আহত এবং ৮ জন নিহত হয়েছেন।’
পাভলো কিরিলেঙ্কো আরও বলেন, নিহত শিশুটি ছেলেশিশু। ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা শিশুটির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে আবাসিক ভবনে ‘নিষ্ঠুরভাবে গোলা হামলা’ এবং দিনের আলোতে মানুষ হত্যার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন।
স্লোভিয়ানস্কের বাসিন্দা ৫৯ বছর বয়সী লারিসা এএফপিকে বলেন, ‘আমি সড়কের অপর পাশে থাকি। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পেয়ে আমি ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে এলাম। সত্যিই খুব ভয় পাচ্ছিলাম এবং হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম।’
লারিসা বলেন, গোলা হামলার কারণে তাঁর ঘরের জানালা ভেঙে গেছে, ঘর কাচের টুকরায় ভরে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার মস্কো দাবি করেছে, বাখমুতে ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা কমে গেছে। তবে কিয়েভ এমন দাবি অস্বীকার করেছে। বাখমুতের সুরক্ষা নিশ্চিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছে তারা।
বাখমুতের কাছে অবস্থানকারী কয়েকজন ইউক্রেনীয় সূত্র এএফপিকে বলেছে, কিয়েভের সেনারা ‘জটিল’ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। অনেক সেনা নিখোঁজ আছে, ঘাঁটিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।