বেলারুশের নতুন শিবিরে ভাগনার যোদ্ধারা, উপগ্রহচিত্র প্রকাশ

বেলারুশের সেল শিবির
ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের যোদ্ধাদের বড় একটি বহর রাশিয়া থেকে বেলারুশের নতুন শিবিরে পৌঁছেছে। নতুন প্রকাশিত কিছু উপগ্রহচিত্রে (স্যাটেলাইট চিত্র) এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

বিবিসি ভেরিফাই উপগ্রহচিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে বলেছে, বেশ কিছু গাড়িকে সেলের শিবিরে ঢুকতে দেখা গেছে। সেল হলো পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটি। বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক থেকে প্রায় ৬৪ মাইল দূরত্বে এর অবস্থান।

সবশেষ উপগ্রহচিত্রে কী দেখা গেছে

গত জুনের শেষের দিকে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহ শেষ হলে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পরপরই বেলারুশের শিবিরের প্রসঙ্গটি সামনে আসে। ওই সমঝোতা চুক্তির একটি অংশে বলা ছিল, ভাগনার যোদ্ধারা বেলারুশে স্থানান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে।

নতুন কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রে ভাগনার যোদ্ধাদের বিপুল সংখ্যায় ওই শিবিরে চলে হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।

বিবিসি ভেরিফাইয়ের সংগ্রহ করা আগের চিত্রগুলোয় দেখা যায়, দুই সপ্তাহে সেলের শিবিরে প্রায় ৩০০টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ভাগনার–সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোয় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, রাশিয়ার মোলকিনোতে ভাগনারের মূল প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে বাহিনীটির পতাকা নামানো হচ্ছে। সাধারণত পতাকা নামানোর এমন দৃশ্যের মধ্য দিয়ে সামরিক ঘাঁটি বন্ধের ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার মিত্র আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ভাগনার যোদ্ধারা এখন তাঁর দেশের শিবিরে আছেন।

আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, বেলারুশের যদি প্রয়োজন হয়, তবে দেশকে রক্ষার জন্য দ্রুতই বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভাগনারকে ডেকে নেওয়া হবে।

উপগ্রহচিত্রগুলোর একটি ১৭ জুলাই তোলা হয়েছে। চিত্রে দেখা গেছে, বেলারুশের এম ফাইভ হাইওয়ে থেকে একটি গাড়িবহর আসছে এবং ওই শিবিরের দিকে যাচ্ছে।

একই দিন ধারণ করা আরেকটি চিত্রে দেখা গেছে, একটি বহর শিবিরে পৌঁছেছে।
একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই একই পথ দিয়ে একটি গাড়িবহর রাশিয়া ও ভাগনারের পতাকা নিয়ে সেলের দিকে এগোচ্ছে।
সেলের দিকে ভাগনারের কতজন সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।

বেলারুশের অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম হায়ুনের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৬০০ যোদ্ধা সেলে পৌঁছেছেন।

ভাগনারের বিদ্রোহ শেষে গত ২৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভাগনার যোদ্ধাদের দুটি উপায় থেকে একটি বেছে নিতে বলেন। তিনি বলেন, হয় ভাগনার যোদ্ধাদের সরাসরি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই করতে হবে, নয়তো তাঁদের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের সঙ্গে বেলারুশে চলে যেতে হবে।