সবুজ পাহাড়ে ঘেরা সাজানো-গোছানো গ্রাম। সারি সারি বাড়ি, পথঘাট—সবই আছে। চাইলেই সেখানে চালু করতে পারবেন রেস্তোরাঁ। খুলতে পারবেন দোকান। ব্যবসার পাশাপাশি পাকাপাকি আবাস গড়াও যাবে নিরিবিলি গ্রামটিতে। কিনতে পারবেন মাত্র ১ ডলারে (১২০ টাকা) বাড়ি। তবে এত সব সুবিধা পেতে আপনাকে হতে হবে হতাশ মার্কিন; যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতায় মুষড়ে পড়েছেন যিনি।
মার্কিনদের নামমাত্র মূল্যে বাড়ি কেনার এ সুযোগ করে দিচ্ছে ইতালির দ্বীপ সার্ডিনিয়ার একটি গ্রামের কর্তৃপক্ষ।
ইতালির আরও অনেক এলাকার মতো ওই দ্বীপের ওলোলাই গ্রামের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বাইরের বাসিন্দাদের দিয়ে এখানে বসতি গড়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক দশক ধরেই গ্রামটিতে লোকজনের বসতি কমছে। লোকজন না থাকায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে অনেক বাড়ি। এ অবস্থায় আকর্ষণীয় ওই উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ইতালির অনেক এলাকার মতো ওলোলাই গ্রামের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বাইরের বাসিন্দাদের দিয়ে এখানে বসতি গড়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক দশক ধরেই গ্রামটিতে লোকজনের বসতি কমছে। লোকজন না থাকায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে অনেক বাড়ি। এ অবস্থায় আকর্ষণীয় ওই উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ, গ্রামটিতে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টায় কর্তৃপক্ষ ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর একটি ওয়েবসাইট খুলেছে। আর সেখানেই এ নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতায় হতাশ মার্কিনদের জন্য শুধু এক ডলারে ওলোলাই গ্রামটিতে বাড়ি কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে ভালো সাড়া পাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
আমরা প্রকৃতই চাইব এবং এ বিষয়ে মনোযোগ দেব যে মার্কিনরা যেন সবার ওপর সুযোগ পান। তবে আমরা অন্য দেশের নাগরিকদের এখানে বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ বাতিল করছি না।ফ্রান্সিসকো কলাম্বু, ওলোলাই গ্রামের মেয়র
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বৈশ্বিক রাজনীতিতে আপনি কি ক্লান্ত–শ্রান্ত হয়ে পড়েছেন? নতুন নতুন সুযোগ–সুবিধা গ্রহণ করে আরও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন বেছে নিতে চাইছেন।’ এতে আরও বলা হয়, ‘অত্যাশ্চর্য স্বর্গ সার্ডিনিয়ায় আসার মধ্য দিয়ে আপনার ইউরোপে পালানোর সময় এসেছে।’
ইতালির ওই গ্রামের মেয়র ফ্রান্সিসকো কলাম্বু মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের পর, বিশেষ করে (হতাশ) মার্কিনদের এখানে বসতি গড়ায় আকৃষ্ট করতে ওয়েবসাইটটি খোলা হয়েছে। কলাম্বু আরও বলেন, তিনি মার্কিনদের ভালোবাসেন এবং মনে করেন, তাঁর এ কমিউনিটিতে প্রাণ ফেরাতে তাঁরাই হবেন সেরা মানুষ।
মেয়র ফ্রান্সিসকো অবশ্য অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য তাঁর গ্রামে বসতি গড়ার সুযোগ একেবারে বন্ধ করে দেননি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃতই চাইব এবং এ বিষয়ে মনোযোগ দেব যে মার্কিনরা যেন সবার ওপর সুযোগ পান। তবে আমরা অন্য দেশের নাগরিকদের এখানে বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ বাতিল করছি না।’