ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করা একমাত্র সেতুটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ডিক্রি জারি করে স্থাপনাটির নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেতুটি পারাপারকারী যানবাহন ও ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবেন রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসেসের (এফএসবি) সদস্যরা। খবর বিবিসির
গতকাল শনিবার ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ এ সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। এ সময় সেতুতে থাকা একটি তেলবাহী ট্রেনেও আগুন ধরে যায়।
সেতুর একাংশ ধসে পড়ে। তবে গতকালই সেতুর একটি অংশ দিয়ে যান চলাচল শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
‘কার্চ ব্রিজ’ নামের সেতুটিকে ২০১৪ সালে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম এই সেতুকে ‘চলতি শতকের সেরা অবকাঠামো’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এই সেতু দিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের চলাচল এবং অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করা হয়।
ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশ গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ আজ রোববার জানান, সেতুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে আপাতত সেতুটির ওপর দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। লরি ও বাসের মতো ভারী যান ফেরিতে পারাপার করতে হবে।
রাশিয়া জানিয়েছে, বিস্ফোরণে সেতুতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে পানির নিচে যাবেন ডুবুরিরা। রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী মারাট খুশনুলিনকে উদ্ধৃত করে দেশটির গণমাধ্যমগুলোয় বলা হয়েছে, আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকেই ডুবুরিদের কাজ শুরু করার কথা। এ ছাড়া পানির ওপর থেকেও বিস্ফোরণের কারণ-সম্পর্কিত বিশদ জরিপকাজ আজকের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে কার্চ ব্রিজে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগামীকাল সোমবার রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই বৈঠকে পুরো ঘটনা বিশ্লেষণের পাশাপাশি নিরাপত্তাসংক্রান্ত পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন রুশ কর্মকর্তারা। যদিও ক্রেমলিন জানিয়েছে, বৈঠকটি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল।