রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে তোলা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে তোলা

জেলেনস্কির মেয়াদ ফুরিয়েছে, শান্তি আলোচনায় এটাই বাধা: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাষ্ট্রপ্রধান পদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। জেলেনস্কি এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসলে বিষয়টি আইনি বাধা তৈরি করবে।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর তিন বছর চলছে। সেই সঙ্গে তিন বছর ধরে ইউক্রেনে জারি আছে সামরিক আইন। চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্টের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন জেলেনস্কি। কিন্তু যুদ্ধরত ইউক্রেনে সামরিক আইন বহাল থাকায় এখনই নতুন নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে না।

গতকাল শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে রাজি আছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। চারটি রুশ সূত্রের বরাতে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা প্রতিক্রিয়া না দেখালে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী পুতিন।

এর পরপরই জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ নিয়ে কথা বললেন পুতিন। বেলারুশ সফরকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, জেলেনস্কির পদমর্যাদা নিয়ে সমস্যা আছে।

শান্তি আলোচনার প্রতি ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, ‘তিনি কার সঙ্গে আলোচনা করবেন? এটা অনর্থক কোনো প্রশ্ন নয়। আমরা এটা বুঝতে পারি যে রাষ্ট্রপ্রধান পদে তাঁর বৈধতা ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে।’

তবে যুদ্ধ চলাকালে জেলেনস্কির রাষ্ট্রপ্রধান পদের বৈধতা নিয়ে ওঠা যেকোনো আপত্তি খারিজ করে দিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টের স্পিকার রুসলান স্টেফানচুক গত সপ্তাহে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পদে থাকার বৈধতা নিয়ে যিনি প্রশ্ন তুলবেন, তিনি মিথ্যা তথ্য ছড়াবেন। এমন প্রশ্ন ইউক্রেনের শত্রুরাই তুলতে পারেন।