কৃষ্ণসাগর হয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির চুক্তিটি আর নবায়ন হবে না। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্ক, ইউক্রেন ও জাতিসংঘকে তা জানিয়ে দিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএর খবরে এটি জানানো হয়।
আরআইএর প্রতিবেদনের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন শস্যচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ‘কার্যত এটি শেষ হয়ে গেছে’।
পেসকভ বলেন, শস্যচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। যখনই শর্তগুলো পূরণ হবে, তাৎক্ষণিক রাশিয়া চুক্তিতে ফিরে আসবে।
গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা এই চুক্তির মেয়াদ আজ শেষ হওয়ার কথা। আর চুক্তি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রিমিয়ায় কার্চ সেতুতে হামলা চালায় ইউক্রেন। ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ভূখণ্ডকে সংযোগ করেছে এই সেতু।
গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, শস্যচুক্তির মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও বলেছিলেন, এই বিষয়ে পুতিন ও তাঁর মনোভাব এক।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিশ্ববাজারে শস্যের সরবরাহ কমায় দাম আকাশ ছুঁয়ে যায়। সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ ও তুরস্ক। গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ নামের শস্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর কয়েক দফায় চুক্তিটি নবায়ন করা হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত শস্যচুক্তির আওতায় গত মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। মূলত ভুট্টা ও গম রপ্তানি করা হয়েছে। এসব রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যস্থল হলো চীন, ইতালি, স্পেন, তুরস্ক ও নেদারল্যান্ডস।