রোগী-বৃদ্ধদের সেবা দেবে রোবট
বড় বড় শিল্পকারখানা থেকে ছোটখাটো সাধারণ কাজ—অনেক ক্ষেত্রেই এখন রোবটের ব্যবহার চোখে পড়ে। এবার নতুন ধরনের রোবট এনেছেন নির্মাতারা। বলা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই রোবট ভবিষ্যতে রোগী ও বৃদ্ধদের সেবায় বড় ভূমিকা রাখবে।
এমনই একটি রোবটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাডিন’। বাদামি চোখ ও লালচে চুলের রোবটটি দেখতে হুবহু মানুষের মতো। সেটি নির্মাণে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার রোবট-বিশেষজ্ঞ নাদিয়া ম্যাগনেনাট থালমান। তিনি বলেন, বৃদ্ধ ও রোগীদের সেবা দিতে মানুষের চেয়ে বেশি সক্ষম নাডিনের মতো রোবট। নাডিন দিনে ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। অন্যদের এতটা সময় নেই।
বিশ্বজুড়ে দিন দিন নার্সসহ স্বাস্থ্য খাতে সেবাদানকারীদের ঘাটতি বাড়ছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির পর এই সংকট গভীর হয়েছে। অনেক দেশেই বাসায় রোগী ও বৃদ্ধদের সেবা দিতে প্রশিক্ষিত লোকজন পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষের মতো রোবট কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাদিয়া ম্যাগনেনাট যোগ দিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের একটি সম্মেলনে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবট ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। সম্মেলনের এক ফাঁকে নিজের তৈরি রোবট নাডিনকে নিয়ে নাদিয়া বলেন, তিন বছর আগে সিঙ্গাপুরের একটি নার্সিং হোমের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছিল নাডিন। এমনকি তাঁদের সঙ্গে গান ও খেলাধুলায়ও অংশ নিয়েছিল।
ওই নার্সিং হোমে গিয়ে ভালো লেগেছিল বলে জানিয়েছে নাডিনও। রোবটটির ভাষায়, ‘সেটি ছিল একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমি বৃদ্ধদের সঙ্গে আলাপ এবং তাঁদের কাজে সাহায্য করাটা উপভোগ করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, অসহায় মানুষকে সেবাদানের ক্ষেত্রে রোবট একদিন বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’
জেনেভার ওই সম্মেলনে নাদিনের মতো আরেকটি রোবট প্রদর্শন করা হয়েছে। ‘পিএআরও’ নামের রোবটটি ডিমেনশিয়া ও পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারে।