পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোশিনকে হত্যা, বলছেন মার্কিন গোয়েন্দারা

ভ্লাদিমির পুতিন
রয়টার্স ফাইল ছবি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। প্রিগোশিনকে বহনকারী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রাথমিক মূল্যায়ন তুলে ধরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন গোয়েন্দারা বলেছেন, প্রিগোশিনকে হত্যা করা হয় বলে তাঁদের ধারণা। হত্যার নির্দেশদাতা পুতিন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরই নেভাদায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুতিনই হত্যার নির্দেশদাতা।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ শুক্রবার বলেছেন, ক্রেমলিন থেকে প্রিগোশিনকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ডাহা মিথ্যা। এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

পুতিনকে হত্যার নির্দেশদাতা বলায় চটেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও। তিনি বলেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো কী বলছে, তা নিয়ে কোনো আগ্রহই তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা খোলামেলাভাবে তদন্ত করছেন। পশ্চিমা গণমাধ্যম কী বলছে তার বদলে বরং সত্যিকার ঘটনাটি কী, তাতে মনোযোগ দিন।’

প্রিগোশিনের মৃত্যুর এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার পুতিন উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানান। টিভিতে সম্প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এটা একটা মর্মান্তিক ঘটনা।’

গত বুধবার ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিলেন প্রিগোশিন। মস্কো থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে টিভিয়ের এলাকায় সেটি বিধ্বস্ত হয়। এতে উড়োজাহাজে থাকা প্রিগোশিন এবং তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উতকিনসহ ১০ আরোহীর সবাই নিহত হন।