জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

ব্রিটিশ আদালতের আদেশ

অ্যাসাঞ্জকে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে না

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না, সেই নিশ্চয়তা না দিলে তিনি প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে আইনি লড়াই চালানোর সুযোগ পাবেন। লন্ডনের হাইকোর্ট আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে। তাঁর বিরুদ্ধে গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক অতি গোপনীয় বিষয় ছিল।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা। তাঁরা বলেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আজকের আদেশে দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, অনেকগুলো দিক বিবেচনায় প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে অ্যাসাঞ্জের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

লিখিত আদেশে আদালত বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হওয়ায় অ্যাসাঞ্জ সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুসারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে যে অধিকার পাওয়ার কথা, তার জন্য বিবেচিত হবেন না। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধানসংবলিত অভিযোগ আনা হতে পারে। সে কারণে তাঁকে প্রত্যর্পণ করা হবে বেআইনি।

এসব বিষয়ে নিশ্চয়তা না এলে অ্যাসাঞ্জকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হবে। আগামী ২০ মে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। এতে তাঁকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি আপাতত আটকে থাকছে।