চলতি বছর বিশ্বে ডেঙ্গু জ্বরে রেকর্ডসংখ্যক রোগী আক্রান্ত হতে পারে। এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা দ্রুত বংশবিস্তার করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গত শুক্রবার এসব কথা জানায় তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ রমন বেলাউধন শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর রোগী শনাক্ত হয়। সে সময় ১২৯টি দেশে ৫২ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩০ লাখ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও পেরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনক পর্যায়ে। এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহন হিসেবে কাজ করে, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় এই মশার বংশ বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আক্রান্ত রোগীদের যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তাতে অধিকাংশ রোগীই আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গে ভুগছেন। দেখা যায়, অনেকের আবার দেহে কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু প্লাটিলেট আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নেমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. রমন বেলাউধন বলেন, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এই রোগ ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো এডিস মশা ও সেটির প্রজননক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া।