এইডসের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ওষুধ পিআরইপি

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘অতি কার্যকর’ ওষুধ পিআরইপি। যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যজুড়ে ২৪ হাজার মানুষের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর কার্যকারিতা ‘নির্ভর করার মতো’।

দেশটির যৌনস্বাস্থ্যবিষয়ক ক্লিনিকগুলোয় হাজারো রোগীকে এ ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কার্যকারিতা পাওয়া যাওয়ায় এখন দাতব্য প্রতিষ্ঠান টেরেন্স হিগিংস ট্রাস্ট ওষুধটি মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে চাইছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এইডস প্রতিরোধে পিআরইপি একটি কার্যকর ওষুধ, যা নারীসহ অনেক মানুষ জানেন না। তাঁরা যাতে সহজে এ ওষুধ পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

ওষুধটির পরীক্ষায় (ট্রায়াল) নেতৃত্ব দিয়েছে ইউকে হেলফ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ)। সঙ্গে ছিল চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার হসপিটাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। বলা হচ্ছে, এটা এ ধরনের সবচেয়ে বড় পরিসরের পরীক্ষা।

পরীক্ষায় অর্থায়ন করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)। দেশজুড়ে যৌনস্বাস্থ্যবিষয়ক ১৫৭টি ক্লিনিকে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষাটি করা হয়েছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা দৈনন্দিন জীবনে পিআরইপির অসংগত বা ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহারের পরও সংক্রমণের ঝুঁকি ৮৬ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছে। আর যথাযথ ব্যবহারে এই ওষুধ ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।

টেরেন্স হিগিংস ট্রাস্টের নীতিবিষয়ক প্রধান ডেবি লেকক বলেন, অনেক নারী এ ওষুধের কথা জানেন না। এখন এটির কার্যকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

যে গোষ্ঠী ও ব্যক্তিরা এটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাঁদের সচেতন করার পাশাপাশি এ ওষুধ সহজলভ্য করতে হবে। এখন যুক্তরাজ্যের ওষুধের দোকান ও অনলাইনে পিআরইপি বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।