কৃষ্ণসাগরে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। গত বুধবার রাতে ইভানোভেতস নামের ওই যুদ্ধজাহাজে দূরনিয়ন্ত্রিত নৌযানের (সি ড্রোন) মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন বাহিনী; যদিও হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকটি সি ড্রোন রাশিয়ার ওই যুদ্ধজাহাজের কাছে যায়। একপর্যায়ে একটি ড্রোন জাহাজটিতে ধাক্কা দিলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। পরে জাহাজটি ডুবে যায়।
ইভানোভেতস রাশিয়ার একটি ছোট আকৃতির যুদ্ধজাহাজ। ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কাজে ব্যবহৃত এই জাহাজে সাধারণত ৪০ জন ক্রু সদস্য থাকেন। হামলার পর তাঁদের কী অবস্থা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধজাহাজটির দাম ৬ থেকে ৭ কোটি ডলার।
রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসসংক্রান্ত ইউক্রেনের দাবির পর এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। তবে এ দাবির পর পশ্চিমা কয়েক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন, জাহাজটি ধ্বংস হয়েছে। ইন্টারনেটে সামরিক বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেন—রুশপন্থী এমন কয়েক ব্লগারও হামলায় জাহাজটি ধ্বংস হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
নিজেদের কম সক্ষমতার পরও কৃষ্ণসাগরে দিন দিন রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন। এ সাগরে অবস্থানকারী বিভিন্ন রুশ যুদ্ধজাহাজে হামলা চালাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও সি ড্রোন ব্যবহার করছে তারা। এর জেরে সেখান থেকে নিজেদের নৌবহরের অনেক জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। এ কারণে ওদেসাসহ বিভিন্ন বন্দর থেকে শস্য রপ্তানি আবার শুরু করতে পেরেছে কিয়েভ সরকার।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা ডুবিয়ে দেয় ইউক্রেন বাহিনী। এ কারণে প্রায় ৫০০ ক্রু সদস্য জাহাজটি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস গত বছর জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের শেষ চার মাসে ইউক্রেনের হামলায় কৃষ্ণসাগরে নৌবহরের ২০ শতাংশ যুদ্ধজাহাজ হারিয়েছে মস্কো।