এবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় তিনি এই ঘোষণা দেন। মূলত এক আস্থা ভোটে নিজ জোটভুক্ত দল ফাইভ স্টারের সমর্থন হারানোর পর মারিও এই ঘোষণা দিলেন। খবর বিবিসির।
তবে প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগির পদত্যাগপত্র গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিওকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাগি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। প্রেসেডেন্ট ইতালির করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি ও দেশটির স্থানীয় অস্থিতিশীলতা সামাল দিতে মারিওকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। এখন তিনি মারিওকে পদত্যাগ না করে পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার আসল চিত্র তুলে ধরতে বলেছেন।
ফাইভ স্টার পার্টি চায় ইউক্রেন যুদ্ধ মূল্যস্ফীতিকে যেভাবে উসকে দিয়েছে, তাতে ভুক্তভোগী মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার। তারা এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক খাতে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ প্রকল্প চেয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হননি মারিও। মূলত এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের দৃশ্যমান অবনতি।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণার ওপর প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের প্রভাব পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মারিও দ্রাগি আগামী বুধবার বুধবার পার্লামেন্টে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সমর্থনসহ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে মারিও বলেছেন, ফাইভ স্টারকে ছাড়া তিনি সরকার চালিয়ে যেতে চান না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী আগামী বছর ইতালিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।