নিজের বাড়ির বৈঠকখানায় কুমিরের সঙ্গে ফিলিপ্পে
নিজের বাড়ির বৈঠকখানায় কুমিরের সঙ্গে ফিলিপ্পে

বিচিত্র

কুমিরের সঙ্গে ঘুমান তিনি

ফরাসি এই ব্যক্তির প্রতিবেশীদের বাসায় থাকে বিড়াল বা কুকুর। কিন্তু তাঁর বাসায় রয়েছে কুমির, বিষধর কোবরা, অজগর, বিচ্ছু, বিষাক্ত মাকড়সাসহ নানা প্রাণী। ফরাসি এই ব্যক্তির নাম ফিলিপ্পে গিলেত।

ফিলিপ্পে যখন বৈঠকখানায় বসে টেলিভিশন দেখেন, তখন তাঁর পাশে দেখা যায় কুমির। অপরিচিত কেউ তাঁর বাসার বৈঠকখানায় ঢুকলে কফি টেবিলের নিচ থেকে গর্জে বেরিয়ে আসে ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা কুমির অ্যালি।

পরিস্থিতি বুঝে ফিলিপ্পেকে বলতে হয়, ‘শান্ত হও।’ তিনি এই কথা বললে আবার টেবিলের নিচে চলে যায় ‘অ্যালি’। ফিলিপ্পে নিজেই বলছেন, ‘ঝড় হলে কুমির তাঁর সঙ্গে ঘুমাতে চলে আসে। মানুষ ভাবে আমি পাগল।’

ফিলিপ্পে বলেন, এটি নীল প্রজাতির কুমির। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রজাতির কুমির এটি।

বাসায় নানা প্রজাতির প্রাণী আর তাদের নিয়ে প্রতিদিনের গল্প ৭২ বছর বয়সী ফিলিপ্পেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারকায় পরিণত করেছে। তাঁর ইনফ ফন চ্যারিটি নামের একটি দাতব্য সংস্থা রয়েছে। প্রাণীদের নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করে সংস্থাটি।

ফিলিপ্পে প্রায় ২০ বছর আফ্রিকায় ছিলেন। সেখানে তিনি প্রাণিশিকারিদের গাইড হিসেবে কাজ করেছেন। সেখানে তিনি প্রায়ই কুমির ধরতেন। জনবসতি থেকে তাদের যতটা সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করতেন।

ফ্রান্সে ফিরে ফিলিপ্পে সরীসৃপ ও উভচর প্রাণী বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি একজন অংশীদার নিয়ে নানতেসের পশ্চিমে কোয়েরঁ এলাকায় আস্তানা গাড়েন।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমন সব মানুষ ফিলিপ্পের কাছে প্রাণী নিয়ে আসেন, যাঁরা ওই প্রাণীর যত্ন নিতে পারছেন না। মাঝে মাঝে ফ্রান্সের শুল্ক বিভাগও তাঁর কাছে প্রাণী পাঠিয়ে দেয়।

ফিলিপ্পে বলেন, কুমির গড়ে ১০০ বছর বাঁচে। তাঁর বাসায় থাকা অ্যালি আর গ্যাটরের বয়স এখন প্রায় ৩০ বছর। তাঁর বয়স হয়েছে। তাই এসব প্রাণী রক্ষায় তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে তুলেছেন।