ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২০২৪ সালে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার শপথ নিয়েছেন। নতুন বছরের শুরুতেই ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে হামলা হওয়ার পর এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোয় রাশিয়া ও ইউক্রেনে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। গত শনিবার রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরে হামলার ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এর এক দিন আগে ইউক্রেনের শহরগুলো লক্ষ্য করে মস্কোর চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ৩৯ জন নিহত হন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটি সবচেয়ে বড় বিমান হামলাগুলোর একটি। এর মধ্যে গতকাল রোববার মধ্যরাতে নতুন বছরের শুরুতেও হামলার কবলে পড়ে ইউক্রেন।
নগরের কর্মকর্তারা বলেন, আজ সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের জন্য শোকের দিন।
গতকাল মধ্যরাতে নতুন বছর শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়া নিযুক্ত দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রধান বলেন, সেখানকার প্রধান শহরে রকেট থেকে ছোড়া ব্যাপক গোলা হামলায় ৪ ব্যক্তি নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের দক্ষিণে ওদেসা অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কিপের বলেছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ ভোরে ইউক্রেনের পশ্চিমে লিভিভ অঞ্চলের গভর্নর মাকসিম কোজিৎস্কি বলেন, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে রুশ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
নববর্ষ উপলক্ষে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আগামী বছর শত্রুপক্ষকে আমাদের দেশি উৎপাদনের (অস্ত্রশস্ত্র) ধাক্কা সামাল দিতে হবে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, আগামী বছর ইউক্রেনের অস্ত্রভান্ডারে অন্তত ১০ লাখ অতিরিক্ত ড্রোন যুক্ত হবে। পাশাপাশি পশ্চিমা সহযোগীদের দেওয়া এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানও থাকবে।
এদিকে নববর্ষ উপলক্ষে গতকাল দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের নাম নেননি, তবে তিনি সম্মুখযুদ্ধে থাকা রুশ সেনাদের প্রশংসা করেছেন এবং কঠিন সময়ে ঐক্য বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।