স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। তিনি নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহের নেতৃত্বের লড়াই শেষে সোমবার এসএনপি প্রধানের পদ নিশ্চিত করেন ইউসেফ।
এশীয় অভিবাসীর সন্তান এখন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে অনুমোদন পেলেই পরদিন শপথ নেবেন ৩৭ বছর বয়সী ইউসেফ। ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ঋষি সুনাক।
নিকোলা স্টার্জেনের উত্তরসূরি হিসেবে এসএনপির নেতৃত্ব দেবেন ইউসেফ। আট বছর দল এবং স্কটল্যান্ডের আধা-স্বায়ত্তশাসিত সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত মাসে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি।
এসএনপির নেতা নির্বাচন ঘিরে স্বাধীনতাপন্থী দলটির মধ্যে গভীর বিভক্তি দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত স্টার্জেনের অনুগত এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নেতৃত্বের দৌড়ে জয়ী হন। তিনি কেট ফোর্বস (৩২) ও অ্যাশ রিগ্যানকে পরাজিত করেন। প্রতিদ্বন্দ্বীরা সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ব্যর্থতার অভিযোগ আনেন ইউসেফের বিরুদ্ধে।
এডিনবার্গে দেওয়া আবেগঘন বিজয়ী ভাষণে নিজের এশীয় বংশোদ্ভূত পরিচয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ইউসেফ বলেন, ‘পাঞ্জাব থেকে আমাদের পার্লামেন্ট, এটি আমাদের প্রজন্মের জন্য একটি অভিযাত্রা।’
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য তাঁর ‘প্রবল আবেগ’ রয়েছে জানিয়ে স্বাধীনতাপন্থী দলটির নতুন নেতা বলেন, ‘স্কটল্যান্ডের জনগণের স্বাধীনতা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
স্বাধীনতা প্রশ্নে ২০১৪ সালের গণভোটে বিপক্ষে ৫৫ শতাংশ আর পক্ষে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। দুই বছর পর ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভোটে অধিকাংশ স্কট ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন।
অবশ্য এই মাসে এক জনমত জরিপে দেখা যায়, স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন কমে ৩৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এর আগে ২০২০ সালে সর্বোচ্চ ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন ছিল।