ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চায় রাশিয়া

গত বছরের জুলাইয়ে সই হওয়া ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামের চুক্তির ফলে কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ উন্মোচিত হয়
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। তবে দেশটি এ চুক্তির মেয়াদ ৬০ দিনের জন্য বাড়াতে চায়। গতকাল সোমবার জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে নিজেদের মত জানায় মস্কো।

রাশিয়া আরও জানিয়েছে, বিদ্যমান চুক্তিটির মেয়াদ আরও বাড়ানোর আগেই দেশটি এ বিষয়ে ‘বাস্তব অগ্রগতি’ দেখতে চায়।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিশ্ববাজারে শস্যের সরবরাহ কমায় দাম আকাশ ছুঁয়ে যায়। সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘ ও তুরস্ক। তাদের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়।

গত বছরের জুলাইয়ে সই হওয়া ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ (বিএসজিআই) নামের এ চুক্তির ফলে কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ উন্মোচিত হয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এ চুক্তির আওতায় ইউক্রেন থেকে ২ কোটি ৪১ লাখ টনের বেশি শস্য রপ্তানি করা হয়েছে।

তবে মস্কোর অভিযোগ, বিএসজিআই চুক্তির মূল সুবিধাভোগী ইউরোপের দেশগুলো। কেননা, ইউক্রেন থেকে রপ্তানি করা শস্যের বেশির ভাগ গেছে এ অঞ্চলের দেশগুলোয়। অন্যদিকে, গরিব ও অনুন্নত দেশগুলো এ শস্যের ভাগ খুব কমই পেয়েছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ এক দফা বাড়ানো হয়েছিল। ১৮ মার্চ এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাঁর আগের চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতিসংঘ।

তবে এবার ৬০ দিনের জন্য এ চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাইছে মস্কো। এ বিষয়ে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন বলেন, ব্ল্যাক সি ইনিশিয়েটিভের মেয়াদ ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হবে। তবে পরবর্তী সময়ে এটি প্রতিশ্রুতি নয়, বরং কাজের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।