স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) মামলা করেছে ইউক্রেন। মূলত ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করায় এই তিন দেশের বিরুদ্ধে কিয়েভের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
কিয়েভের অভিযোগ, এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের প্রতিবেশী ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। যদিও তিনটি দেশের দাবি, ইউক্রেন থেকে সস্তায় অতিরিক্ত আমদানির জেরে কৃষিপণ্যের দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই নিজেদের কৃষকদের রক্ষায় তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী ইউলিয়া সুভয়ুরয়ুদেঙ্কো বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য প্রমাণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কোনো দেশ এককভাবে ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। এ জন্য আমরা তাদের (স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি) বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে মামলা করেছি।’
ইউলিয়া আরও বলেন, বহুপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিকারকেরা ইতিমধ্যে সংকট মোকাবিলা করছে।
গত এপ্রিলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, পাঁচটি দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম, ভুট্টা, শর্ষে ও সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করতে পারবে না। তবে এসব দেশ হয়ে অন্য কোনো দেশে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করা যাবে। দেশ পাঁচটি হলো পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদ শেষে ইউরোপীয় কমিশন জানায়, পাঁচ দেশের জন্য জারি করা ইউক্রেনের শস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে না। তাই চাইলে এসব দেশ ইউক্রেন থেকে আমদানি করা শস্য বিক্রি করতে পারবে।
কিন্তু এরপরও স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি সরকার জানিয়েছে, তাদের দেশে ইউক্রেনের শস্য বিক্রি করা হবে না। তারা ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানি করবেও না। এ নিয়েই এখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের মামলার পরও স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি সরকার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি।