উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

অ্যাসাঞ্জের ভাগ্যে কী আছে

গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি প্রকাশের ঘটনায় বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের চূড়ান্ত আবেদনের ওপর আজ মঙ্গলবার শুনানি শুরু করবেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হাইকোর্ট।

ইরাক ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বিপুলসংখ্যক গোপন নথি ২০১০ সালে ফাঁস করে দেয় উইকিলিকস।

মার্কিন গোপন নথি ফাঁসের এই ঘটনায় ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ চায় যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যাসাঞ্জের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছে। এই লড়াই এখন শেষের দিকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাজ্যের আদালতের আদেশ ধারাবাহিকভাবে অ্যাসাঞ্জের বিপক্ষে গেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, লন্ডনের হাইকোর্টে আজ যে শুনানি শুরু হচ্ছে, তা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ এড়াতে অ্যাসাঞ্জের শেষ চেষ্টা।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জকে পূর্ণাঙ্গ আপিলের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে লন্ডনের হাইকোর্ট দুই দিনের শুনানি নেবেন। আজ লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রথম দিনের শুনানি শুরু হবে।

দুই দিনের শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জের আবেদন (পূর্ণাঙ্গ আপিলের অনুমতি) গৃহীত হলে তিনি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আরেকটি সুযোগ পাবেন। সে ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ আপিল শুনানির জন্য দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

আর যদি দুই দিনের এই শুনানিতে অ্যাসাঞ্জের আবেদন নাকচ হয়, তাহলে যুক্তরাজ্যে তাঁর আপিলের সব সুযোগ শেষ হয়ে যাবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর প্রত্যর্পণপ্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে অ্যাসাঞ্জের আইনি দল ইঙ্গিত দিয়েছে, তেমনটা হলে তারা ইউরোপীয় আদালতে আপিল করবে।

অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, তিনি প্রয়োজনে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতকে সাময়িকভাবে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার প্রত্যর্পণ বন্ধের জন্য আরজি জানাবেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হলে তিনি মারা যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসাঞ্জের সর্বোচ্চ ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

২০১৯ সালে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর আগে সাত বছর ধরে তিনি লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন।