পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান উইসল কুকুলা দাবি করেছেন, গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। এটি পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রায় তিন মিনিট ধরে ওড়াউড়ি করেছে। এরপর এটি ইউক্রেনের আকাশসীমায় পৌঁছায়।
শুক্রবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এসব হামলায় ৩০ জন নিহত হন। আহত হন অনেকে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, এর আগে দেশটিতে এত বেশিসংখ্যক শহরে একযোগে হামলা চালায়নি রুশ বাহিনী।
পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল কুকুলা বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় উড়েছে।
রাডারে বস্তুটি ধরা পড়ার পর পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দারজেজ দুদা একটি জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেন। যে এলাকায় বস্তুটি শনাক্ত হয়েছে, সেখানে প্রায় ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা তল্লাশি চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি আদৌ পোল্যান্ডের ভূখণ্ডে পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে এ তল্লাশি চালানো হয়।
ন্যাটো জোটের সদস্য পোল্যান্ড। শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় পোল্যান্ড ও মিত্রদেশগুলোর উড়োজাহাজ পাঠানো হয়। তবে সেখানে কোনো বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি।
অপারেশনাল কমান্ডের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাসেক গোরিসজেউস্কি বলেন, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় লুবলিন অঞ্চলের আকাশসীমায় একটি অজ্ঞাত বস্তু দেখা গেছে। বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যম টিভিএন২৪কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেনের বড় বড় শহরে রাশিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, তার সঙ্গে এর সংযোগ থাকতে পারে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পোল্যান্ড ভূখণ্ডে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে জেউদু গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পোল্যান্ডের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বদলা নিতে ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বেলারুশ থেকে ছোড়া একটি রুশ কেএইচ-৫৫ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়েছিল। পড়ে এটি একটি জঙ্গলে গিয়ে পড়ে।