ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পুতিনও নাকি এমন কোনো আলোচনায় রাজি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই শেষ পর্যন্ত এই আলোচনায় বসা কঠিন হবে বলে মনে করছে ক্রেমলিন। কারণ হিসেবে তারা বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা ‘নতুন চার অঞ্চলকে’ এখনো স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল-জাজিরা ও এএফপির।
ওই চার অঞ্চল হলো ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক। গত সেপ্টেম্বরে অঞ্চলগুলোতে গণভোটের মাধ্যমে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তবে চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি জাতিসংঘও রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। সেখানে তাঁরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন। এ সময় বাইডেন বলেন, ‘পুতিনের যদি আসলেই যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’
এরপর আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, রাশিয়ার স্বার্থ নিশ্চিত করতে পুতিন সব সময় আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, এখনো আছেন। তবে ওয়াশিংটনের অবস্থান সম্ভাব্য আলোচনা জটিল করে তুলছে। ওয়াশিংটনের অবস্থান বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, রাশিয়ার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চলবে উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, ‘বাইডেন আসলে কী বলেছেন? তিনি বলেছেন, পুতিন যদি ইউক্রেন ত্যাগ করেন, তাহলেই কেবল আলোচনায় বসা সম্ভব। নিশ্চিতভাবেই মস্কো ওই শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।’
এদিকে আজ জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ হয়েছে। এক ঘণ্টার ওই আলাপে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নিয়ে একটি কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শলৎজ। একই সঙ্গে ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
অপর দিকে পুতিন জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোটা ‘ধ্বংসাত্মক’ হয়েছে। বার্লিনকে নিজেদের অবস্থান নিয়ে আবারও চিন্তাভাবনা করতে বলেন তিনি।