রাশিয়ার দখলকৃত ও দেশটির নিজ ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেন। সোম ও রোববার রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি হামলার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের বাহিনী আজ মস্কোর পার্শ্ববর্তী কালুগা শহরে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে তা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মস্কোর দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের এই শহরের মেয়র ভ্লাদিস্লাভ শ্যাপশাহ বলেন, ওই ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রুশ নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়াকেও অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এ জন্য রোববার দুটি সেতুতে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া যেসব এলাকা দখল করে নিয়েছে, সেই সব এলাকা থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে জোর দিয়েছে তারা। এ জন্য আরও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইউক্রেনের বাহিনী রাশিয়ার তেলের ট্যাংকার, রাজধানী মস্কো ও বন্দরেও হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার পর বরাবরই বার্তা দেওয়া হচ্ছে, এমন হামলা আরও হবে। গত শনিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার জাহাজে এবং ক্রিমিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে আরও হামলা চালানো হবে।
সাম্প্রতিক এমন জোরদার হামলার পেছনে রয়েছে পশ্চিমাদের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা এবং আধুনিক সব অস্ত্র। এসব অস্ত্র দেওয়ায় গত রোববার পশ্চিমাদের প্রশংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কাছ থেকে যেসব আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাওয়া গেছে, সেগুলোর ব্যবহারের ফলে দুর্দান্ত ফল পাওয়া যাচ্ছে।