কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিগোশিনকে সমাহিত

উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে স্মরণ করেন তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে তাঁর নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে সমাহিত করা হয়েছে। ভাগনারের জনসংযোগ শাখা বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, কেউ প্রিগোশিনকে শেষ বিদায় জানাতে চাইলে যেন পোরোখোভসকোয়ি সমাধিস্থলে যান। এর বাইরে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি তারা।

তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে প্রিগোশিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এ সময় তাঁর নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। বাবার কবরের পাশে প্রিগোশিনকে সমাহিত করা হয়। সেখানে ভাগনার গ্রুপের পতাকা উড়তে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। সমাধিস্থলের প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়। প্রিগোশিনের সমাধি দেখতে মানুষের ঢল নামতে পারে, এই আশঙ্কায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা করে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় প্রিগোশিনের নাম ছিল। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে সবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। গত রোববার প্রিগোশিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছিলেন ভাগনার যোদ্ধারা, তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। গত ২৩ জুন তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন তিনি। এরপর কখনো বেলারুশ, কখনো আফ্রিকার মরুভূমিতে অবস্থান করছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর মধ্যেই গত বুধবার নিজ দেশে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান তিনি। তাঁর মৃত্যুর পেছনে রুশ প্রেসিডেন্টের ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।