ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের বিদ্রোহ বন্ধের বিনিময়ে এর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া। তবে এখন তাঁর বিরুদ্ধে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষগুলো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
রাশিয়ার তিনটি প্রধান বার্তা সংস্থা ও একটি সংবাদপত্রের খবরে একাধিক সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি এখনো একটি মামলায় প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই মামলা খারিজের সময় এখনো হয়নি।
গত শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মস্কোর উদ্দেশে অভিযান শুরু করেন প্রিগোশিন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধে রাজি হন তিনি। এরপর রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্রোহ শুরু করার কারণে প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা খারিজ করা হবে। একই সঙ্গে ভাগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
ক্রেমলিনের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী, বেলারুশে ‘নির্বাসন’-এ যাবেন প্রিগোশিন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ না হওয়া নিয়ে রুশ গণমাধ্যমের খবরও স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
এদিকে ভাগনারপ্রধানের বিদ্রোহ ঘোষণার পর রাশিয়ার একটি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে ইউক্রেনে অবস্থান করা রুশ সেনাসদস্যদের পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। শোইগুকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েই ওই বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন প্রিগোশিন।