চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে তা বেইজিংয়ের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘চূড়ান্ত সীমা’ অতিক্রম করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপের ২৮টি দেশের এই জোটের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। আজ সোমবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। জবাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা এমনটি করতে যাচ্ছেন না। এরপরও ইইউ সতর্ক থাকবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চীন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। বেইজিং এমনটি করলে তা গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। চীন এখনো রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের নিন্দা জানায়নি। এ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার কথা বলে আসছে বেইজিং। সংঘাত বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছে তারা।
গত শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর সিবিএস নিউজকে ওই সাক্ষাৎকার দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্লিঙ্কেন জানান, বৈঠকে রাশিয়াকে চীনের প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আমরা চীনা কোম্পানিগুলোকে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র সরবরাহ করতে দেখেছি। গভীর উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এখন আমাদের প্রাপ্ত তথ্যমতে, তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।’
চীনের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কী তথ্য আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চীন রাশিয়াকে কী কী দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, সে প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রাথমিকভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেওয়া হতে পারে।