রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছবোমা দিলে মস্কো একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে। রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো এই তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, দখলদার রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের জন্য তারা ইউক্রেনকে গুচ্ছবোমা দেবে।
গুচ্ছবোমা ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ একটি অস্ত্র। যুক্তরাজ্য, জাপানসহ বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে এই বোমা নিষিদ্ধ।
যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে গুচ্ছবোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার বন্ধে বিশ্বের ১২৩টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা কিয়েভকে গুচ্ছবোমা দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, রাশিয়ার কাছে গুচ্ছবোমা রয়েছে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তাদের সামরিক অভিযানে এই বোমা ব্যবহার করেনি।
তবে ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলায় গুচ্ছবোমা ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে আগে অভিযুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছিল, ইউক্রেনে রুশ গুচ্ছবোমার ব্যর্থতার হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে ইউক্রেনের ভূমিতে অবিস্ফোরিত অনেক রুশ গুচ্ছবোমা রয়েছে।
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইউক্রেনে যে গুচ্ছবোমা পাঠাচ্ছে, তার ব্যর্থতার হার ২ দশমিক ৩৫ শতাংশের কম।
সের্গেই শোইগু গতকাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গুচ্ছবোমা দিলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত যে রাশিয়ার কাছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক গুচ্ছবোমা রয়েছে। আর তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।
রুশ সেনাদের এই ধরনের অস্ত্র (গুচ্ছবোমা) থেকে রক্ষার জন্য মস্কো ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান সের্গেই শোইগু।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তারা এই পদক্ষেপকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, প্রায় ১৭ মাসের এই সংঘাতকালে মস্কো ও কিয়েভ উভয়ই যুদ্ধক্ষেত্রে গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে।