এয়ার ইউরোপার একটি উড়োজাহাজ
এয়ার ইউরোপার একটি উড়োজাহাজ

মাঝ-আকাশে উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনি, যাত্রী বললেন, ‘ভেবেছিলাম, মরে যাব’

এয়ার ইউরোপার স্পেনের মাদ্রিদ থেকে উরুগুয়েগামী একটি ফ্লাইট মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি কবলে পড়ে ব্রাজিলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনায় ফ্লাইটটির অন্তত ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার স্প্যানিশ উড়োজাহাজ সংস্থাটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলা হয়, মাদ্রিদ থেকে উরুগুয়ের মোন্তেভিদেওর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ফ্লাইট ইউএক্স ০৪৫। যাত্রাপথে ফ্লাইটটি মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়ে। এ কারণে ফ্লাইটটিকে ব্রাজিলের নাটাল বিমানবন্দর অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

এয়ার ইউরোপার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ফ্লাইটটি স্বাভাবিকভাবে ব্রাজিলের বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা আঘাত পেয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উড়োজাহাজের গতিবিধি অনুসরণের (ফ্লাইট ট্র্যাকিং) ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্যমতে, ঝাঁকুনির কবলে পড়া উড়োজাহাজটি একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ছিল।

এয়ার ইউরোপার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, উড়োজাহাজটির ৩৩৯ জন যাত্রী বহনের সক্ষমতা রয়েছে।

ম্যাক্সিমিলিয়ানো নামের এক যাত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিকালে যাঁদের সিটবেল্ট বাধা ছিল না, তাঁরা উড়োজাহাজের ছাদের অংশে গিয়ে আঘাত খান। এতে আহত হন। আর যাঁদের সিটবেল্ট বাঁধা ছিল, তাঁরা অতটা আঘাত পাননি।

স্টেভান নামের আরেক যাত্রী রয়টার্সকে বলেন, আহত ব্যক্তিরা হাত, মুখ ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। যাত্রীরা বেশ ভয়ংকর অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।

স্টেভান আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম, আমরা সেখানে মারা যাব। কিন্তু স্রষ্টাকে ধন্যবাদ, তেমনটা হয়নি।’

স্প্যানিশ উড়োজাহাজ সংস্থাটি বলেছে, ব্রাজিলে আটকে পড়া এই যাত্রীদের নিয়ে উরুগুয়ে যাওয়ার জন্য অন্য একটি উড়োজাহাজ মাদ্রিদ থেকে রওনা হবে।