যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পাননি দলটির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বরাবরের মতো লন্ডনের ইসলিংটন নর্থ আসন থেকে নির্বাচন করবেন করবিন। এতে ওই আসনে পরাজয়ের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে লেবার পার্টি।
করবিন ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লেবার পার্টির নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেয় লেবার পার্টি। সেই দল থেকে ২০২০ সালে করবিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনের ইসলিংটন নর্থ আসন থেকে জয় পেয়ে আসছেন করবিন। লেবার পার্টির প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম না দেখে আজ শুক্রবার নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তিনি। করবিন বলেছেন, ‘সাম্য, গণতন্ত্র ও শান্তির পক্ষে একটি স্বাধীন কণ্ঠস্বর’ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে ওই আসন থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যেন গণতান্ত্রিক হয়। তবে ইসলিংটন নর্থে লেবার পার্টির সদস্যদের নিজেদের (পছন্দের) প্রার্থী বেছে নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
৭৪ বছর বয়সী করবিন বলেন, ‘আমাদের একটি পদক্ষেপ নিতেই হতো। সোচ্চার হয়ে বলতেই হতো, আমরা এটা আর মেনে নিতে পারছি না। আমরা নিজেদের অধিকার আদায় করেই ছাড়ব। এ কারণেই ইসলিংটন নর্থের মানুষের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’
১৯৮৩ সাল থেকে ইসলিংটন নর্থ আসনে টানা নির্বাচিত হয়ে আসছেন করবিন। ২০২০ সালে লেবার পার্টি থেকে করবিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দলে তাঁর নেতৃত্বের সময় ইহুদিবিরোধী অভিযোগগুলো তিনি কীভাবে সামলেছেন—এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লেবার পার্টি।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছেন করবিন। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে একধিক বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সরকারে সামগ্রিক নীতির বড় সমালোচক করবিন। এমনকি গাজায় ‘জাতিগত নিধনের’ অভিযোগ তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রতি আহ্বান জানানো রাজনীতিকদের একজন তিনি।