রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের খরচ জোগাতে ধনীদের কর বাড়াচ্ছেন পুতিন

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের খরচ জোগাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেও বাড়তি কর আদায় করবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন। রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। এরপর নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়া থেকে ইউরোপের বাজারে জ্বালানি রপ্তানি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এতে চাপে পড়ে রাশিয়ার অর্থনীতি। এ পরিস্থিতিতেও যুদ্ধের কারণে পুতিন প্রশাসনের সরকারি ব্যয় কয়েক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এখন দেশের ধনী ব্যক্তি ও বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাড়তি কর আদায় করে ব্যয়ভার সামাল দিতে চাইছেন পুতিন। প্রস্তাবিত করহার ২০২৫ সাল থেকে চালু হতে পারে।

রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবের কথা উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বাড়তি কর আরোপের জেরে প্রতিবছর ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার আদায় করতে চাইছে রুশ সরকার।

এক বিবৃতিতে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তনি সিলুয়ানোভ বলেন, একটি স্বচ্ছ ও ভারসাম্যমূলক করব্যবস্থা চালু করার জন্য এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর ফলে বাড়তি যে আয় হবে, তা দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণ এগিয়ে নেবে।

গত মার্চে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন পুতিন। তার আগে থেকেই তিনি দেশের করব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলে আসছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার মানুষের আয়কর দেওয়ার একক হার বদলাতে চাইতেন তিনি।

রাশিয়ার বেশির ভাগ মানুষ ১৩ শতাংশ হারে আয়কর দেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিধনীদের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। প্রস্তাবিত করহারে তা আরও বাড়িয়ে আয়ভেদে ১৮ শতাংশ, ২০ শতাংশ, এমনকি ২২ শতাংশ পর্যন্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাশিয়ায় প্রস্তাবিত করহারে করপোরেট করের হার ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।