নাইজেল ফারাজ—যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বেশ পরিচিত এক নাম। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিটের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহায়তার কারণে তিনি বেশ আলোচিত। এখন টিভি শো উপস্থাপনা করছেন ফারাজ।
নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ৬০ বছর বয়সী ফারাজ। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, আগামী মাসের সাধারণ নির্বাচনে লড়বেন তিনি। নেতৃত্ব দেবেন ডানপন্থী রিফর্ম পার্টির। দলটি রিফর্ম ইউকে নামেও পরিচিত।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, ফারাজের ভোটে দাঁড়ানোর ঘোষণা চাপে ফেলতে পারে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। কেননা, নিজেদের প্রভাবশালী প্রার্থী না থাকলে সচরাচর ডানপন্থী ভোটারদের ভোট কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে যায়। ডানপন্থী ভোটাররা লেবার পার্টিকে খুব একটা ভোট দিতে চান না। এ পরিস্থিতিতে ফারাজ নির্বাচনে দাঁড়ালে কনজারভেটিভদের ভোট ভাগ হয়ে যেতে পারে।
এর আগে ফারাজ বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যে আগামী জুলাইয়ের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন না; বরং আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী হতে ভূমিকা রাখতে চান তিনি। এখন ইউটার্ন নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মত বদলে ফেলেছেন। কেননা, রাজনীতির মাঠে যেসব মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে সমর্থন করছিলেন, তাঁদের জন্য ভোটের লড়াইয়ে না নেমে মনঃপীড়ায় ভুগেছেন তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফারাজ বলেন, ‘আমরা বিরোধী কণ্ঠস্বর হতে চলেছি। আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি এবং সব সময় বলে যাব, আমি সবাইকে চমকে দেব।’
সংবাদ সম্মেলনে ফারাজ বলেন, আগামী জুলাইয়ের নির্বাচনে খুব সম্ভবত লেবার পার্টি জিততে চলেছে। কিন্তু তিনি ডানপন্থী রিফর্ম পার্টিকে প্রধান বিরোধী দল করতে লড়ে যাবেন।
ফারাজের মতে, যুক্তরাজ্যে এখন আর কোনো সরকারি পরিষেবা ঠিকঠাক কাজ করছে না। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা এবং সড়ক পরিবহনের মতো সেবা নানা সমস্যায় জর্জরিত। তিনি যুক্তরাজ্যে একটি ‘রাজনৈতিক সংস্কার’ আনতে আগ্রহী।
একসময় কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতি করেছেন ফারাজ। এখনো তিনি তাঁর প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্রিটিশ রাজনীতিকদের একজন। অভিবাসী মোকাবিলা ও ইইউর বিষয়ে আরও কঠোর নীতি নেওয়ার বিষয়ে তিনি বরাবর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীদের ওপর চাপ দিয়ে এসেছেন।
যুক্তরাজ্যে আগামী ৪ জুলাই জাতীয় নির্বাচন হবে। দেশটিতে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।