রুশ বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ উড়োজাহাজ ধ্বংস

গত মঙ্গলবার রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণ ঘটে
ছবি: রয়টার্স

ক্রিমিয়ায় রুশ বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে সাতটি উড়োজাহাজ ধ্বংস হয়েছে। নতুন স্যাটেলাইট চিত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন এ দাবি করেছে। গত মঙ্গলবার রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণ ঘটে।

প্ল্যানেট ল্যাবসের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতটি রুশ উড়োজাহাজ ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বিস্ফোরণের কারণ তারা নিশ্চিত হতে পারেনি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমানবাহিনীর গোলাবারুদ মজুত থেকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কীভাবে গোলাবারুদের মজুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তা প্রকাশ করেনি।

৯ আগস্টের একটি স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, সাকি বিমানঘাঁটির মূল রানওয়ের পাশে কয়েকটি যুদ্ধবিমান রাখা আছে। বিস্ফোরণের পর ১০ আগস্টের স্যাটেলাইট চিত্রটিতে দেখা যায়, কমপক্ষে সাতটি উড়োজাহাজের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
তবে ফ্লাইটলাইনে থাকা উড়োজাহাজগুলোর ভাগ্যে কী ঘটেছে স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট নয়। ফ্লাইটলাইন ও টারম্যাকে থাকা বাকি উড়োজাহাজগুলোকে অক্ষত মনে হয়েছে।

ঘাঁটির এই এলাকায় কমপক্ষে চারটি গর্ত দেখা গেছে। ফ্লাইটলাইন ও পার্শ্ববর্তী উড়োজাহাজ রাখার জায়গাগুলোতে চোখে পড়ার মতো পোড়া চিহ্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত গাছপালা দেখা গেছে।

মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে ধ্বংস হওয়া উড়োজাহাজের সংখ্যার দিক থেকে এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রুশ বিমানবাহিনীর জন্য অন্যতম ধ্বংসাত্মক দিন। সোভিয়েত আমলেও এমন ঘটনা ঘটেনি। সোভিয়েত আমল ও আধুনিক রাশিয়ায় সামরিক উড়োজাহাজ খোয়ানোর যৎসামান্য যেসব তথ্য পাওয়া যায়, একদিন একই ঘটনায় এত–সংখ্যক উড়োজাহাজ হারানোর কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না।

ক্রিমিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে নয়জন।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ড মনে করে রাশিয়া। তবে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে কিয়েভ ও তার মিত্ররা স্বীকৃতি দেয়নি। তারা মনে করে, রাশিয়ার দখলে থাকা উপদ্বীপটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড।