(বাঁ থেকে) দিলোভার ইসলোমোভ (২৪), তাঁর ভাই আমিনচন ইসলোমোভ (৩৩) ও তাঁদের বাবা ইসরইল ইসলোমোভ (৬৩)
(বাঁ থেকে) দিলোভার ইসলোমোভ (২৪), তাঁর ভাই আমিনচন ইসলোমোভ (৩৩) ও তাঁদের বাবা ইসরইল ইসলোমোভ (৬৩)

মস্কোতে হামলার ঘটনায় তিন বাবা–ছেলে গ্রেপ্তার

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্টে হামলার ঘটনায় আরও তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ওই হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির সাবেক মালিক, তাঁর ভাই ও বাবা। স্থানীয় সময় সোমবার বাসমনি ডিসট্রিক্ট কোর্ট তাঁদের ২২ মে পর্যন্ত বিচার-পূর্ব আটকাদেশ দেন। খবর স্পুতনিক ও দ্য মস্কো টাইমসের—

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, দিলোভার ইসলোমোভ (২৪), তাঁর ভাই আমিনচন ইসলোমোভ (৩৩) ও তাঁদের বাবা ইসরইল ইসলোমোভ (৬৩)। এর মধ্যে দিলোভার ওই গাড়ির সাবেক মালিক।

আদালতের কক্ষে দিলোভার ইসলোমোভ

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে বর্বরোচিত ওই হামলার সময় সাদা রঙের কালো ছাদওয়ালা একটি রেনো গাড়ির ছবি সিসি টিভিতে রেকর্ড হয়। পরে দেখা যায় ওই গাড়িতে করেই ইউক্রেন সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন হামলাকারী। পথে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

পুলিশ দিলোভার ও তাঁর বাবা-ভাইয়ের বিরুদ্ধে হামলাকারীদের সহযোগিতা করার অভিযোগ এনেছে। আদালতে দিলোভার নথি দাখিল করে জানিয়েছেন, তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে গাড়িটি বিক্রি করে দেন। তবে নথির তথ্য মতে, গাড়িটির বিমা এখনো দিলোভারের নামেই রয়েছে, নতুন করে কারও নামে করা হয়নি।

আদালতের কক্ষে আমিনচন ইসলোমোভ

এর আগে গত শনিবার নোভায়া গেজেটা ইউরোপকে দিলোভার বলেছিলেন, তিনি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই গাড়ির ছবি দেখে হতভম্ব হয়ে যান। পরে দিলোভার নিজেই বিষয়টি পুলিশকে জানান বলে, তাঁর এক আত্মীয় দাবি করেছেন।

আদালতে দিলোভারের ভাই আমিনচন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নন।

আদালতের কক্ষে ইসলোমোভ ইসরইল ইসলোমোভ

দিলোভার ও তাঁর ভাই আমিনচন রাশিয়ার নাগরিক। তাঁরা দুজনই পেশায় গাড়িচালক। আর তাঁদের বাবার দেশটিতে বসবাস করার অনুমতিপত্র রয়েছে। তাঁদের বসবাস রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল তিভারে। দিলোভার ও তাঁর ভাই পেশায় ট্যাক্সিচালক।

গত শুক্রবার রাতে মস্কোর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্ট শুরুর আগ মুহূর্তে হামলা করেন একদল বন্দুকধারী। রুশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া শেষ হিসাব অনুযায়ী সেই হামলায় অন্তত ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত আরও শতাধিক। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য। ইতিমধ্যে এই চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।