নানা বিষয়ে ভীতির কথা শোনা যায়। কেউ তেলাপোকা দেখে ভয় পান, কারও-বা থাকে উচ্চতাভীতি। তাই কলা দেখে ভয় পাওয়ার কথা কে কবে শুনেছে? বিরল এই ‘ব্যানানাফোবিয়া’ বা ‘কলাভীতি’ রয়েছে সুইডেনের লিঙ্গ সমতাবিষয়ক মন্ত্রী পাওলিনা ব্রান্ডবার্গের।
ব্যানানাফোবিয়া বা কলাভীতিতে উপসর্গ হিসেবে গুরুতর উদ্বেগ এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। সাধারণত কলা দেখে বা কলার গন্ধে এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এ কারণে ব্রান্ডবার্গ যখনই কোনো সফরে বাইরে যান, তাঁর দপ্তরের কর্মীরা আগেই ই-মেইল করে সেই জায়গাকে ‘কলামুক্ত’ রাখার অনুরোধ জানান। এমনকি বিশেষ মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজনেও কলা ‘না রাখার’ জন্য বলা হয়। ই-মেইলে এর কারণ হিসেবে বলা হয়, কলায় ব্রান্ডবার্গের ‘মারাত্মক অ্যালার্জি’ রয়েছে।
সুইডেনের একটি পত্রিকা সম্প্রতি মন্ত্রী ব্রান্ডবার্গের কলাভীতি নিয়ে পাঠানো কয়েকটি ই-মেইল ফাঁস করেছে। পত্রিকাটিতে যে কটি ই-মেইল ফাঁস করা হয়েছে, তার একটি পাঠানো হয়েছিল নরওয়েজিয়ান জুডিশিয়াল এজেন্সিতে, ভিআইপি লাঞ্চের আগে। ওই ই-মেইলে বলা হয়, ‘ব্রান্ডবার্গের কলায় “ভয়াবহ অ্যালার্জি” রয়েছে। তাই তিনি যেখানে থাকবেন, তার আশপাশে কলা না রাখলে খুশি হব।’ একই ধরনের আরেকটি ই-মেইল পাঠানো হয় কাউন্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডে। সেখানে লেখা হয়, ‘কোথাও কলা রাখার অনুমতি নেই’।
ব্রান্ডবার্গ এক্সপ্রেসেন পত্রিকার কাছে তাঁর এই ভীতি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, ‘তিনি এ জন্য পেশাদার ব্যক্তিদের সহায়তা নিচ্ছেন।’
পত্রিকাটি জানায়, ২০২০ সালে টুইটারে (বর্তমানে এক্স) তিনি নিজেই তাঁর আতঙ্ক নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত আতঙ্কের নাম কলাভীতি। পরে অবশ্য ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।
তবে ব্রান্ডবার্গ একাই নন, সুইডেনের লিবারেল পার্টির মন্ত্রী টেরেসা কারভালহোরও একই ভীতি রয়েছে। তিনি নিজেই এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। কেউ ব্যানানাফোবিয়ায় আক্রান্ত কি না, তা বুঝতে পারা বেশ কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশির ভাগ সময় শৈশবে ঘটা কোনো ঘটনার কারণে এই ভীতির সৃষ্টি হয়।