অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে আইনপ্রণেতাদের চাপে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এ অবস্থায় শুক্রবার নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে সমর্থনকারী সাবেক অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে সে পদে বসিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদে বসার পাঁচ সপ্তাহ না যেতেই নিজ দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে তাঁকে সরানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। আর তাঁর জায়গায় আলোচনায় উঠে আসছে ঋষি সুনাকের নাম। বিভিন্ন বেটিং সাইটে এ নিয়ে বাজি ধরাও চলছে।
এ বছরের মধ্যেই লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী থেকে সরানো হতে পারে—এমন বাজির দর অনেক বেশি। লিজ ট্রাসকে সরানো হলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজির দরে এগিয়ে আছেন ঋষি সুনাক। অবশ্য বরিস জনসনের ফিরে আসা নিয়েও কিছু বাজি ধরা হচ্ছে।
করছাড়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিলেন লিজ ট্রাস। করপোরেট কর বাড়ানোর পদক্ষেপ বাতিলের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শুরুটাও সেভাবে করেছিলেন লিজ ট্রাস।
তিনি এখনো জোর দিয়ে বলছেন, ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানোই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু তিনি লক্ষ্যে অটুট থাকতে পারেননি। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরই কর হ্রাসসহ সংক্ষিপ্ত বাজেট দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং। তখনই অভিযোগ উঠেছিল, এই কর হ্রাস করা হয়েছে মূলত ধনীদের জন্য। আবার সেই ছাড়ের অর্থ কীভাবে পূরণ হবে, তার রূপরেখা তিনি দেননি। সেই অভিযোগেই অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৪২ বছর বয়সী ঋষি প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইতে এগিয়ে ছিলেন অন্যদের থেকে। তাই দলের সদস্যরা চাইছেন, ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী ও মরডন্টকে উপপ্রধানমন্ত্রী করা হলে অর্থনীতির পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। আবার কেউ কেউ চাইছেন, সুনাককে অর্থমন্ত্রী করা হোক আর মরডন্টকে দেওয়া হোক দলের দায়িত্ব।