ইউক্রেনে দ্রুত ভারী অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান ন্যাটোর

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনে দ্রুত ভারী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। একই সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে শিগগিরই ট্যাংক তুলে দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আজ মঙ্গলবার দেশটির নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্তোরিয়াসের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটোপ্রধান। বৈঠক শেষে মিত্রদেশগুলোর উদ্দেশে এমন আহ্বান জানান তিনি। এ সময় জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে ঐকমত্য হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে তাঁর সরকার।

ইউক্রেনে জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাংক পাঠাতে চাপ বাড়ছে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের ওপর। এ ছাড়া অনেক দেশ জার্মানি থেকে এই ট্যাংক কিনেছে। তারা ট্যাংকটি ইউক্রেনে পাঠাতে চাইলে বার্লিন যেন বাধা না দেয়, এমন আহ্বানও জানানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী, জার্মানি চাইলে তাঁদের বিক্রি করা ট্যাংক অন্য কোনো দেশে পাঠানোর অনুমতি না-ও দিতে পারে।

তবে শত চাপের পরও ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ওলাফ শলৎজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। তাঁদের আশঙ্কা, হঠাৎ এমন কোনো পদক্ষেপের ফলে ইউক্রেনে হামলা আরও বাড়াতে পারে মস্কো।

আজ বৈঠকে জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘যুদ্ধের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, আমাদের ভারী ও আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করতে হবে। আর এটা করতে হবে অতি দ্রুততার সঙ্গে। আজ যে আলোচনা হলো, তার প্রশংসা করছি। আমরা ট্যাংকের বিষয়ে কথা বলেছি। মিত্রদের মধ্যে আলাপ চলবে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে শিগগিরই একটা সমাধান আসবে।’

এ সময় জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্তোরিয়াস বলেন, অন্য কোনো দেশ লেপার্ড ট্যাংক ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে চাইলে বাধা দেবে না বার্লিন। তবে জার্মানি ট্যাংক দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, এর অর্থ এই নয় যে সবার মধ্যে একতা নেই কিংবা জার্মানি একঘরে হয়ে গেছে। ট্যাংকের বিষয়ে ওলাফ শলৎজ ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি রাইনমেটাল বলছে, প্রয়োজন হলে তারা ইউক্রেনে ১৩৯টি লেপার্ড যুদ্ধট্যাংক সরবরাহ করতে পারবে। কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র মিডিয়া গ্রুপ আরএনডিকে এ কথা বলেছেন।